
এতো দুঃখবোমা ফাটে, হৃৎপিণ্ড ফেটে যায়
এতো কষ্টগুলি চলে, ফুসফুস ফুটো হয়ে যায়
বারবার যন্ত্রণাসিডর তছনছ করে দেয় শস্যখেত, ঘরবাড়ি সব
ঘুরেফিরে বৈশাখী ঝড়ের বেগে ধেয়ে আসে আপদবিপদ
প্রাত্যহিক নিয়মের মতো হয়ে গেছে অপঘাত মৃত্যু, সংঘাত
তবুও জীবন জ্বলে আশ্চর্য প্রদীপ হয়ে!
প্রতিদিন ক্ষোভের জোয়ার আসে, ডেকে আনে হতাশার বান
রাগের উদ্ধত ফণা ইঁদুরের মতো আপসের গর্তে বাঁধে বাসা
বরিন্দের খরার মতন দীর্ঘস্থায়ী হয়ে ওঠে খা খা হাহাকার
ঠক, চোর, দালাল ও ডাকাতের হুক্কাহুয়া ডেকে আনে অন্ধকার
প্রতিদিন একটু একটু করে যেন ক্যান্সার কেবিনে মরে মরে যাচ্ছি
তবু রোজ ভোরে পথে প্রান্তরে জীবন হেঁটে চলে মনজিলে!
আবাদের খোঁজ নেই, বুকে জ্বলে শুধু সোনালি খড়ের পালা
স্বপ্নের হদিস নেই, শুধু দুঃসংবাদ সারাক্ষণ ঘেউ ঘেউ করে
দেহমনে পোশাকের মতো লেপ্টে আছে অবিশ্বাস, রুদ্ধশ্বাস ও সন্ত্রাস
বোয়ালের দেশে ছোট মাছ হয়ে নিত্যদিন বাঁচার লড়াই
অথচ কখনো ঝাঁক বাঁধি না, করি না ঝাঁকবাঁধা প্রতিরোধ
তবু বাঁচার আশায় ঠেলাগাড়ি হয়ে শরীর গড়ায়!
পূর্বপুরুষের রক্তমাখা মাটিতে জন্মায় জীবনের শস্য
অপরাজিত আত্মারা খুঁজে খুঁজে ফেরে বাঁচার রহস্য।
সম্পাদনা : আশরাফ হাসান