
প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান, মুক্তচিন্তা ও গণতন্ত্রের বাতিঘর—এমন মন্তব্য করেছেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (ডুয়া) সদস্য সচিব এটিএম আব্দুল বারী ড্যানী। বিশ্ববিদ্যালয়টিকে শুধু বাংলাদেশের নয়, সমগ্র বাঙালি জাতির প্রগতির প্রতীক বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বাণীতে এ কথা উল্লেখ করেন তিনি। বাণীতে আব্দুল বারী ড্যানী বলেন, 'আজ আমরা গর্বের সাথে উদ্যাপন করছি আমাদের প্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯২১ সালের ১লা জুলাই যে শিক্ষাবীজ রুপিত হয়েছিল, তা আজ এক মহীরুহে পরিণত হয়েছে। জ্ঞান, মুক্ত চিন্তা ও গণতন্ত্রের বাতিঘর হিসেবে পরিচিত এই বিশ্ববিদ্যালয় শুধু বাংলাদেশের নয়, সমগ্র বাঙালি জাতির প্রগতির প্রতীক।'
তিনি বলেন, 'নিউইয়র্কে অবস্থান করলেও আপনাদের হৃদয়ে রয়ে গেছে সেই চিরচেনা কার্জন হল, টিএসসি, মধুর ক্যান্টিন, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, আর ক্যাম্পাসের প্রতিটি প্রান্তর। আমরা গর্বিত যে আমরা এই ঐতিহ্যের অংশ। এই বিশেষ দিনে আমরা সবাই মিলে সেই মূল্যবোধকে নতুন করে স্মরণ করি যেখানে শিক্ষা, মানবিকতা, ন্যায়বিচার এবং দেশপ্রেম একত্রে মিলিত হয়েছে।'
ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের এই সদস্য সচিব আরও বলেন, 'নিউইয়র্কের অ্যালামনাই হিসেবে আপনারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। প্রবাসে থেকেও আপনারা আপনাদের প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ও ঐতিহ্য অটুট রাখবেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের কল্যাণে নিজেদের সম্পৃক্ত করবেন এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এই গৌরবের গল্প শোনাবেন।'
সবশেষে তিনি প্রার্থনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেন আরও শত-শত বছর দেশ ও জাতির কল্যাণে আলোকবর্তিকা হয়ে থাকে
উল্লেখ্য, ঢাকা ইউনিভার্সিটি এলামনাইদের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ছিলেন—মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, আয়শা আক্তার, সজল রোশান, বিলকিস বেগম, জাসির কবির, টুটুল, মোহাম্মদ ইশতিয়াক উদ্দিন, মোহাম্মদ শিকদার, নাসির খান, আখতারুজ্জামান খান।
এছাড়া জাকির পাটোয়ারী, শামিম আল-আমিন, দিলরুবা আয়েশা, মোহাম্মদ বদিউজ্জামান, ইমাম চৌধুরী, ফাইজা করিম, হাবিব খান, শান্ত বিশ্বাস, সাঈদ তারেক, হাবিবুর রহমান, এবি মির্জা ইসলাম, এম এ হক, এম আর চৌধুরী, এম আমির হোসাইন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শুরু হয় সমবেত কণ্ঠে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গাওয়ার মধ্য দিয়ে। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা ও পরিচালনায় ছিলেন বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিক্ষাবিদ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ। অনুষ্ঠানের সিংহভাগজুড়ে ছিল স্মৃতিচারণ। ক্যাম্পাস জীবনের কথা বলতে গিয়ে অনেকেই আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। কিছু সময়ের জন্য হলেও ফিরে যান শিক্ষাজীবনে।
জানা যায়, গত কয়েক বছর ধরেই ঢাকা ইউনিভার্সিটি এলামনাইদের উদ্যোগে নিউইয়র্কে এই আয়োজন হয়ে আসছে। প্রতিটি আয়োজনেই যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের সম্মাননা দেওয়া হয়।
কেক কেটে প্রিয় প্রতিষ্ঠানের জন্মদিন উদ্যাপন করেন সাবেক শিক্ষার্থীরা। নির্মল আড্ডা আর গল্প-গুজবে মেতে ওঠেন সবাই। সবশেষে চলে দলবেঁধে ছবি তোলা। যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশি কমিউনিটিকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য শামিম আল আমিনকে সম্মানিত করা হয়।
চ্যানেল ৭৮৬ এর নিউজ রুম এ যোগাযোগ করতে ই মেইল করুন এই ঠিকানায় [email protected] । আপনার পন্য বা সেবার প্রচারে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কল করুন +1 (718) 355-9232 এই নাম্বারে।