পৃথিবীতে মানব-সভ্যতা বিধ্বংসী মহামারি বিরাজমান,
লকডাউন, কোয়ারান্টাইন বন্দীশালায় মানুষের জীবন।
প্রাকৃতিক পরিবেশ তার স্বরূপ উদঘাটনে স্বচেষ্টায় ব্যস্ত,
সবুজের সমারোহ আর বাহারি ফুলেফলে ভরা প্রতিবেশ।
জীববৈচিত্র্য ফিরে পাচ্ছে তার হারানো নান্দনিক শোভা।
একদিন করোনা মহামারী শেষ হবে, মুক্তি পাবে মানুষ; পৃথিবী হয়তো আবারো হাসি-গানে, আনন্দে ভরে যাবে।
সোনামণিদের কলরবে স্কুল-আঙ্গিনা মুখরিত হয়ে উঠবে।
কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চাঞ্চল্য ফিরে আসবে।
যুবক-যুবতীরা বাঁচার আশা খুঁজে পাবে, সুন্দর ধরণীতে।
বুড়ো মানুষেরা বলবেন, আরো কদিন বেঁচে থাকা যাবে।
হাসপাতালের আইসিওতে আর একাকী মরতে হবে না।
আর মরে গেলে দাফন-কাফন বা সৎকারে কেউ মুখ ফিরিয়ে নেবে না। মানুষ আবার প্রাণ খুলে হাসতে পারবে!
বন্দীদশা থেকে মুক্তি পাবে; নীলাকাশে মুক্ত পাখির মতো।
তারপর পৃথিবীর সবুজ-সতেজ পরিবেশ অটুট থাকবে!
কার্বন নিঃসরণ ও বৃক্ষ নিধন কি
বন্ধ হয়ে যাবে চিরতরে?
আমরা কি বাসযোগ্য পৃথিবী বাঁচিয়ে রাখতে পারবো!