কেন কাঁদছো অমন করে? দেখছো না,
আধোয়া জলে পোড়া শিক কাবাব!
সে তো বেশ আছে, ঘুটঘুটে আঁধার জলে
শুঁকোতে দিয়েছে দ্রাবিড় জীবন!
কাল জন্মে ছিল যে কচিপাতা শতদল
সে ঠিকানা খুঁজে নিয়েছে মড়মড় ইতিহাস;
আজ আর তার কথা কেউ মনে রাখেনি!
সে চুকিয়ে গেছে মানসাঙ্কের জল পাহাড়,
জীবনের সকল কানাগলি, পোড়ামাটি কাহিনী!
তবে সেও শূন্য হাতে ফিরিয়ে দেয়নি,
কাবিলের উত্তরাধিকার;
দিয়ে গেছে বিবস্ত্র সভ্যতার সীলমোহর!
অরুদ্ধ সকাল সেও এসেছিল কাল
সেও বলে যেতে পারেনি কোনো ইতিকথা,
দিয়ে যেতে পারেনি কোনো আশালতা!
তবে কী হবে এই অনিশ্চিন্তপুর?
ঈশ্বরের আদুরে মন্ত্রপূত জলকন্যা!
এই কী ছিলো তবে আটকপালে দুবলার চর?
কতো পাখি ফিরে নীড়ে, বায়ু বহে ধীরে
কেবল ক্ষয়ে যাওয়া বোধের কেউ রাখে না খবর!!