
তোমার কথামালা মূলত বাতাসের স্বর
মুখনিঃসৃত শব্দগুলো গোপন সংরক্ষণে
পাথরময় ধূম্রজলের গহীন অতলে।
তোমার ওষ্ঠদ্বয় লিখছে পুনর্বার
প্রবহমান পানির গতি
আর প্রভাত হারিয়ে যায় সর্পবিষ-অন্ধকারে।
সুমিষ্ট যাদুবতীর অনুপম প্রেমকুশলতায়
আচ্ছন্ন তোমার ইন্দ্রিয়ানুভূতি।
আবরণহীন উচ্ছিষ্ট ইট-পাথরের সাথে শ্রবণরত
সেই দেবীর মায়াজালের শব্দধ্বনি।
তোমার পদচিহ্ন হাঁটছে নর্দমার রাস্তা ধরে
অথচ তুমি দেখছ তরল খাদ্যগুল্ম থেকে
উচ্চারিত হচ্ছে আদিম শব্দাবলি
উদ্ভাসিত বিশেষায়িত ভাষায়,
আর প্রতিদিনের মঞ্চায়ন ঘোষণা করছে উচ্চস্বরে।
তোমার নামটি জ্বলজ্বল করছে
তোমার চোখের নিচে
এবং মাটির শয্যাস্তরের উপরিভাগে
অথচ এই টিস্যু-শরীর থেকে অনেক দূরে।
সাইকাডাস পতঙ্গ উর্বরা করছে গ্রীষ্ম
দৃশ্যমান সময়, যাত্রাপথে শোনা যাচ্ছে তার কন্ঠস্বর,
সাইডার্স সুগন্ধি বৃক্ষ ও আম গাছের নিচে
ধনাঢ্য বিস্তৃত ছায়া প্রিয় হয়ে ওঠে
কালো বর্ণের পাখিদের দ্বারা।
তুমি জেগে উঠতে পারো
মকিংবার্ড-এর প্রতিধ্বনিময় পরিবেশে,
সেই শব্দধ্বনি ভেঙ্গে ফেলে
পপ সঙ্গীতের উচ্চকন্ঠকেও।
আমাদের গল্পসমূহের সেতুসড়ক
দরজাগুলোর চৌকাঠ পেরিয়ে
আমাদের এই পৃথিবীকে করেছে সংযুক্ত,
যেখানে সু্রের পাখিরা গায়
আকাশে রংধনু উদয়ের গান।
আমি দৃঢ়ভাবে জানি তোমার নাম
চাঁদ সে কথা বলেছে কানে কানে।
সেই নিপুণ ভাষা-প্রবাহের প্রারম্ভে
তোমার খরস্রোতা নদীময় বইবে উচ্ছল ঝর্নার গান।
[আলিসিয়া মিনজারেজ রেমিরেজ, ম্যাক্সিকোর সমকালীন বিশিষ্ট কবি]