
নেমক হারাম,
হাঁ নেমক হারামি-ই যেন ওদের রক্তের শিরায় উপশিরায় বহমান
যেমন পরগাছা সৈন্যলতা যার উপর ভর করে,তাকেই গিলে খেতে চায়।
গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল ভাব দেখায়,মিথ্যে আভিজাত্যরে অহংকারে ফেটে পড়ে।
মালিকের সহস্র অনুগ্রহ পেয়েও অতৃপ্ত অসহিঞ্চু অকৃজ্ঞ তারা
জান্নাতি মান্না-ছালুয়া যাদেরকে তৃপ্ত করতে পারেনি এরাই সেই জাতি
অন্যরে ঘাড়ে বন্দুক রেখে শিকার করা এদের স্বভাব
অন্যরে মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে খাওয়ার প্রবাদ- বাক্য সম্ভবত এদের জন্যই লিখিত হয়েছে
মাকড়াসার ছা-পোনারা পরিণত বয়সে যেমন মাকেই খেয়ে প্রতিদান দেয়।
তেমনি এরা আশ্রয়দাতার সাথে শুধু বিশ্বাসঘাতকতা করেই ক্ষ্যান্ত হয় না
একদম খেয়ে সাবাড় করে দিতে চায়
ইতিমধ্যে অকৃতজ্ঞতার এক জ্বলন্ত মেছাল বিশ্ব স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করছে।
পবিত্র আত্মা অগণিত নবী-রাসুলদের পবিত্র রক্তে রঞ্জিত হয়ে আছে যে অপবিত্র জায়োনিস্টদের হাত
নিস্পাপ নারী-শিশুদের রক্ততো এদের কাছে মামুলি
যে শিশুরা মায়ের গর্ভ থেকে বেরিয়ে এসে মায়ের স্তনে মুখ লাগিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ার কথা
সেই শিশুরা চোখ মেলেই দেখে ভীত সন্ত্রস্ত উদ্বিগ্ন মায়ের ফ্যাকাসে হতবিহ্বল মুখচ্ছবি
মায়ের আশংকা এই বুঝি মানবরূপী দানবের ছোঁড়া মিসাইল এসে উড়িয়ে দেবে তার প্রসব-কষ্টের ফসল নাড়িছেঁড়া বাছাধনের মাথার খুলি
ফিনকি দিয়ে সবেগে রক্ত বেরিয়ে এসে লালে লাল করে দেবে মায়ের পরিধেয় বসন।
হাঁ এভাবেই হায়েনারা প্রতিনিয়ত গোগ্রাসে গিলে খাচ্ছে অগণিত শান্তিকামি নিস্পাপ শিশু-নারীর তরতাজা জীবন।
এ খুন পিয়াসি দানবের লাগাম টেনে ধরা কি
সত্যি বিশ্বমানুষের জন্য অসম্ভব?
নাকি মহা কোন খলনায়ক দৈত্যের অশুভ কোন মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মহাযজ্ঞের মহড়া চলছে!