সহসা কি যেনো কুড়াই শিশিরের গন্ধের ভেতর
কি যেনো পেয়েই দর্পিত উল্লাসে খুঁজি সমুদ্রের ঘ্রাণ
যে ঘ্রাণ একটি ঘাসের শরীরেও সহজাত !
এ গন্ধই কি ছিলো রুমীর পেঁচানো পাগড়ির ভাঁজে
যা খুলেই তিনি রুয়ে দিতেন কবিতার বীজতলায়
সেই বীজ থেকে যে বৃক্ষের জন্ম সে ই কি মাসনবী!
মলাট উল্টিয়ে শুঁকি মাসনবীর পৃষ্ঠার গোলাপ
আহা! বাঁশির সৌরভে নিষণ্ণ পাখির নীড়
থেকে ঝরে রহস্যের জল
জল ঘেঁটে দেখি কি করে আত্নাকে ধুয়ে নিলেন
রহস্যময় রুমী
ভাঁজ খুলতেই দেখি হঠাৎ উড়ে গেলো এক ঝাঁক দোয়েলের শিস
সেই দুরন্ত হুদহুদ পাখির অবিমিশ্র সুরের ঢেউ, যে কণ্ঠ
আছড়ে পড়েছিলো নবী সোলায়মানের মসনদের সিনায় দল বাঁধা শালিকের দূরাগত সুর তরঙ্গে মনে হলো
এই তো আধ্যাত্নিক আত্তারের মানতেকুত্ তোয়ের!
অদ্ভুত বিস্ময়ে তিনি কবিতায় বেঁধে দিলেন পাখির বুলি
পাখিদের কণ্ঠে স্বর্গ ও নরকের গান।
শামসেত তাবরিজের দৃষ্টির সে আগুনের কথা ভাবি
যে আগুন পুড়িয়েছে রুমীর কিতাব
তেমন দৃষ্টির বিস্ময় কার চোখে আছে
কে আছে তেমন, জলেও ভেজে না যার স্পর্শের দাগ!