Channel 786 | চ্যানেল ৭৮৬ | Community Bangla Newspaper

‘শুধু ভালোবাসার কথা বললে হবে না, রাসুলকে (সা.) ফলো করতে হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:১৩, ১ অক্টোবর ২০২৩

আপডেট: ১০:৩৩, ২ অক্টোবর ২০২৩

‘শুধু ভালোবাসার কথা বললে হবে না, রাসুলকে (সা.) ফলো করতে হবে’

বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ড. নাসিমা হাসান। ইসলামি আলোচক হিসেবে তার বেশ সুনাম আছে। পবিত্র ঈদের মিলাদুন্নবী উপলক্ষে তিনি মুখোমুখি হয়েছিলেন চ্যানেল৭৮৬-এর। আলোচনায় রাসুল (সা.)-এর জীবনের বিভিন্ন অংশের ওপর আলোকপাত করেছেন তিনি, যা মানবজীবনে অত্যন্ত গুরুত্ববহ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রোকেয়া মোহনা

রাসুলকে (সা.) ভালোবাসার কথা সবাই বলে। আমরা তাকে অনুসরণ করি কতটা?
এটা ঠিক যে, মুসলমান মাত্রই রাসুলকে (সা.) ভালোবাসে। তাকে জানে, সিরাত পড়ার চেষ্টা করে। কিন্তু এতে তো কোনো লাভ নেই, যদি জানা জিনিশটা না মানা হলো। তাই রাসূলকে (সা.) শুধু জানা নয়, তার জীবনটাকে আমাদের জীবনে এপ্লাই করার চেষ্টা করতে হবে। আমরা যে যেখানে যে অবস্থায় আছি, আমরা যেন হজরত মোহাম্মদ (সা.)-কে ফলো করি। আমরা সবসময় আল্লাহকে ভালোবাসার কথা বলি। আসলে আল্লাহকে ভালোবাসা মানেই হলো তাঁর রাসুলকে (সা.) অনুসরণ করা। 

নারীর প্রতি রাসুল (সা.)-এর দৃষ্টিভঙ্গি কেমন ছিল?
রাসূল (সা.)-কে বলা হয় নারী মুক্তির দূত। আইয়ামে জাহেলিয়াতে যেখানে বেঁচে থাকারই অধিকার ছিল না, সেখানে আমাদের প্রিয়নবী বেঁচে থাকার পর নারীর আরও যা যা অধিকার আছে, সেগুলোও প্রতিষ্ঠিত করেছেন। নারীরা কতটুকু সম্পদ পাবে, সেটাও কোরআনের মাধ্যমে উনি আমাদেরকে জানালেন। 

টিনেজারদের সঙ্গে রাসূল (সা.) কেমন ব্যবহার করতেন?
রাসূল (সা.) সবসময় হাসিমুখে থাকতেন, অন্যদের চোখে যেটা এক ধরনের প্রশান্তি হিসেবে ধরা দিত। টিনেজারদের প্রতি তিনি খুব দয়াপরবশ হয়ে কথা বলতেন। আদর করে কথা বলতেন। আমরা জানি, বয়ঃসন্ধিকাল মানুষের জীবনের খুব কঠিন একটা সময়। এই সময় হরমোনের এত প্রভাব থাকে যে, মানুষ বিদ্রোহী হয়, আক্রমণাত্বক হয়, কথা শোনে না। এই সময়টাতে কিশোর-কিশোরীদের সঙ্গে কীভাবে আচরণ করতে হবে, সেটা শিখিয়েছেন রাসুল (সা.)।

এমন একটা ঘটনা কি আমাদেরকে জানাবেন?
তখন হুনাইনের যুদ্ধ থেকে রাসুল (সা.) সবেমাত্র ফিরে এসেছেন। আজান হচ্ছে, কিছুক্ষণ পর নামাজ শুরু হবে। এ সময় আজানের শব্দ নিয়ে একদল কিশোর টিটকারি করল। বিশেষকরে একটি কিশোর সবচেয়ে উঁচু গলায় আজান নিয়ে বিদ্রুপ করছিল। রাসুল (সা.) ওই কিশোরদের ডাকলেন। বললেন, তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে উচু গলার আওয়াজটা কার? তখন সবাই একটি ছেলে দেখিয়ে দিলো। ওই কিশোর মনে মনে ভাবছে, আজ খারাপ কিছু হয়ে যেতে পারে। কারণ রাসুল ও তার সাহাবিরা কেবল যুদ্ধ থেকে এসেছেন। তাদের হাতে অস্ত্র আছে। রাসূল (সা.) সবাইকে অবাক করে দিয়ে বললেন, তোমার কণ্ঠ খুব সুন্দর-মধুর। ওই কিশোরকে কাছে ডেকে আদর করলেন এবং তার জন্য দোয়া করলেন। এমন ভালো ব্যবহার পেয়ে কিশোর ছেলেটি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করল। রাসুল (সা.) তাকে কাবা শরীফের অন্যতম মুয়াজ্জিন হিসেবে ঘোষণা দিলেন!

গৃহস্থালী কাজে সাহায্য করতেন রাসুল (সা.)?
সুযোগ পেলেই রাসুল (সা.) ঘরের কাজে হাত দিতেন। স্ত্রীদের নানা কাজে সহযোগিতা করতেন। তিনি ছিলেন একজন রাষ্ট্রনায়ক, যুদ্ধের সময় কমান্ডার ইন চিফ, নামাজের সময় ইমাম, কখনো বিচারক। এত কিছুর পরও তিনি ঘরের কাজে স্ত্রীদের সাহায্য করছেন! তার মানে হলো, গৃহস্থালী কাজকে তিনি কখনোই ছোট করে দেখেননি। রাসুলের সামনে যে খাবারই দেওয়া হতো, কখনোই সেটা নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেননি। সেই তুলনায় আমাদের চরিত্রটা নিয়েও একটু বলা দরকার। অফিসে সামান্য চাকরি করেও গৃহস্থালি কাজে হাত দিতে চান না আমাদের স্বামীরা। ডিম পোচে কুসুমটা শক্ত হয়ে গেলেও পরিবারের মানুষরা কথা শোনায়।


চ্যানেল৭৮৬ এর নিউজ রুম এ যোগাযোগ করতে ইমেইল করুন এই ঠিকানায় [email protected] । আপনার পণ্য বা সেবার প্রচারে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কল করুন +1 (718) 355-9232 এই নাম্বারে।

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ