Channel 786 | চ্যানেল ৭৮৬ | Community Bangla Newspaper

‘জাতির ইমেজের সর্বনাশ করছে বিভক্ত ফোবানা’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২:৪৮, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

‘জাতির ইমেজের সর্বনাশ করছে বিভক্ত ফোবানা’

নিউইয়র্কে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আস্থা ও ভরসার বাতিঘর বীর মুক্তিযোদ্ধা, গ্লোবাল পিস অ্যাম্বাসেডর ড. আবু জাফর মাহমুদ। তিনি অ্যালেগ্রা হোম কেয়ার এবং জয়বাংলা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও। চ্যানেল৭৮৬ এর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি তার বাংলাদেশ সফরের অভিজ্ঞতা, সাধারণ মানুষের ভালোবাসা, সম্মাননা গ্রহণ এবং প্রবাসে বাংলাদেশিদের বিভক্তি নিয়ে কথা বলেছেন। সঙ্গে ছিলেন রোকেয়া মোহনা

আপনি অনেক ব্যস্ত মানুষ, তারপরও সময় দিয়েছেন…।
ব্যস্ত থাকতেই হবে। আমাদের সৃষ্টিই হয়েছে ব্যস্ত থাকবার জন্য। আমৃত্যু আমাদের কাজ ও দায়িত্ব চলতে থাকবে। এই দায়িত্ব পালন থেকে কোনো রেহাই নেই। দায়িত্ব পালনই আমাদের কর্তব্য। এর মধ্যেই সময় বের করতে হবে।

সম্প্রতি মাতৃভূমি বাংলাদেশে গিয়ে সম্মানিত হলেন…।
বাংলাদেশে গিয়েছিলাম খুব অল্প কয়েকদিনের জন্য। পৌঁছার পর রাতেই ফোন পেলাম আমার বন্ধু এবং ভাই মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর কাছ থেকে। তিনি একসঙ্গে জুমার নামাজ পড়ার অনুরোধ করলেন, আমি রাজি হয়ে গেলাম। পরে বললেন, ওখানে মুসল্লিদের উদ্দেশে ৫ মিনিট কথা বলতে হবে, তাতেও রাজি হলাম। পরদিন দেখলাম তার গাড়ি আমার বনানীর বাসার সামনে এসে বসে আছে। আমরা যাত্রা করলাম। গাড়ি চালাচ্ছেন মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, আমরা ঢাকার অন্যতম বৃহৎ রহিম মেটাল মসজিদে গিয়ে পৌঁছলাম। আমার জন্য যে এত চমক অপেক্ষা করছে, তখনও আমি বুঝতে পারিনি।

কেমন চমক ছিল?
গাড়ি থেকে নামার পর ওখানকার শিক্ষক-ছাত্ররা ফুল নিয়ে আসলেন, আমাকে শুভেচ্ছা জানালেন। আমি কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে গেলাম। কারণ এর কিছুই আমি জানি না। যারা আমাকে ফুল দিয়ে বরণ করল, তাদের কাউকে আমি চিনি না, তারাও কেউ আমাকে চেনে না। শুধু একটা কমন পরিচয় আমাদের, সেটা হলো আমরা মুসলমান। শিক্ষক-ছাত্রদের চোখ-মুখ দেখে মোটেও বুঝা গেল না যে, আমি একজন অপরিচিত মানুষ। তাদের হৃদ্যতা-ভালোবাসা দেখে মুগ্ধ হয়েছি।

তাদের উদ্দেশ্যে কোনো বক্তব্য দিয়েছিলেন?
হ্যাঁ, সেটাই বলছি…। এক পর্যায়ে খতিব সাহেব যেখানে বসে, সেখানে নিয়ে আমাকে বসানো হলো। এরপর ঘোষণা আসলো যে, আমাকে সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে, আমি বড়সড় ধাক্কা খেলাম। কারণ এর জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। আরও শিউরে উঠলাম, যখন আমাকে মিম্বরে আহ্বান করা হলো। এই মিম্বরে তো আমার নবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) বসতেন! গোটা পৃথিবীর জন্য নির্দেশনা দিতেন। এই বিষয়টা ভেবে আমার গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো। যে মসজিদের কথা বলছি, এই রহিম মেটাল মসজিদ বাংলাদেশের (বায়তুল মোকাররমের পরেই) দ্বিতীয় বৃহত্তম মসজিদ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল সাহেব এখানেই নামাজ পড়েন। মসজিদটিতে অনেক আলেম, সাধারণ মানুষের কথা আর কী বলবো। সবমিলিয়ে ২৫ হাজার মানুষ। আমার দিকে তাদের যে ভালোবাসার চাহনি দেখলাম, সেটা অবর্ণনীয়।

এর মধ্যেই ভিয়েতনাম থেকে সম্মাননা গ্রহণ করলেন, সেখানে কখন গেলেন?
ওইদিন জুমার নামাজের পরপরই এয়ারপোর্টে আসলাম। গন্তব্য ভিয়েতনাম। সেখানে আমাকে নাইট অফ সেন্ট জন অফ জেরুজালেম উপাধি দেওয়া হবে। আমাদের জানা মতে, এটি পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন ও সবচেয়ে সম্মানের। প্রায় ৯২৪ বছর ধরে কার্যকর এই ঐতিহ্যবাহী আনুষ্ঠানিকতা। আমি কোনোদিন চিন্তা করিনি, এমন একটা অ্যাওয়ার্ড পাব। কারণ আমি যখন সমাজকর্ম করি, মানবিক কাজ করি, সেটা আমার দায়িত্ব মনে করেই করি। কোনো প্রতিদানের জন্য করি না। আমি মনে করি, আমি জন্মেছি মানেই কিছু দায়িত্ব নিতে হবে। আর শিক্ষিত হয়েছি মানেই বাড়তি আরও কিছু দায়িত্ব নিতে হবে। আমার জন্ম সন্দ্বীপে, সাগর পাড়ে। ছোটবেলা থেকেই ঝড়-জলোচ্ছ্বাস দেখে বড় হয়েছি। তখনই বড়দের সঙ্গে মানবিক কাজে যুক্ত হয়েছি, মানুষকে উদ্ধার করেছি, খাবার দিয়েছি, নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিয়েছি। তাই এই কাজগুলো আমার রক্তে মিশে গেছে।

নাইটস হসপিটালার অ্যাওয়ার্ড নিয়ে আরও কিছু জানতে চাই…।
দ্য অর্ডার অফ নাইটস অফ দ্য হসপিটাল অফ সেন্ট জন অফ জেরুজালেম সাধারণত নাইটস হসপিটালার নামে পরিচিত। এটি একটি সামরিক আদেশ হিসেবে ১২ শতকে জেরুজালেম রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১২৯১ সাল পর্যন্ত সেখানে সদর দফতর ছিল, তারপর সাইপ্রাসের কোলোসি ক্যাসেল, রোডস দ্বীপ, মাল্টা এবং সেন্ট পিটার্সবার্গে স্থানান্তরিত হয়। মানবসেবা তথা স্বাস্থ্যসেবায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই উপাধি প্রদান করা হয়। এক সময় ব্রিটিশ রাজপরিবার থেকে এটা দেওয়া হতো। এত বড় একটা অ্যাওয়ার্ড পেয়ে আমি অভিভূত হয়ে গেলাম। এই অনুভূমি ব্যাখ্যা করার মতো নয়। 

এরপর আবার বাংলাদেশে ফিরলেন?
হ্যাঁ, নাইট অ্যাওয়ার্ড নিয়ে আবার গেলাম জন্মভূমির মাটিতে। ততক্ষণে বাংলাদেশে আমার শুভাকাঙ্ক্ষীরা জেনে গেছেন ভিয়েতনামে আমার অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার কথা।

বাংলাদেশের আর কোথায় কোথায় গেলেন?
ঘোরাঘুরির তেমন একটা সুযোগ হয়নি। কারণ ততদিনে আমি কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়লাম। ভিয়েতনাম থেকে ফেরার পরপরই সিলেটের হাওড়ের মানুষজন খুব করে চাইলেন, যেন তাদের সঙ্গে একটু দেখা করি। কিন্তু আমি তখন অসুস্থ, কাশির কারণে কথাই বলতে পারছি না। তিনদিন পর কিছুটা সুস্থ হয়ে রওয়ানা হলাম সিলেটের উদ্দেশে। সেখানে তাদের যে ভালোবাসা পেয়েছি, সেটা আমার মতো ক্ষুদ্র মানুষের জন্য অনেক বেশি।

সিলেটের এই সফর সম্পর্কে একটু বিশদ জানতে চাই…।
সিলেটে নেমেই প্রথমে গেলাম হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজারে। সেখানে আমি কাউকে চিনি না, তারপরও তাদের আতিথেয়তা দেখে মুগ্ধ হয়েছি। মাজারের খাদেম সাহেবের সঙ্গে কথা হলো। জিজ্ঞেস করলাম, হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর ওপর কোনো বই আছে কি-না? তিনি ১৫ মিনিটের মধ্যে এমন একজনকে ডেকে নিয়ে আসলেন, যিনি হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর ওপর পিএইচডি করেছেন। আমি অবাক হচ্ছি আর ভাবছি, এত সুন্দর আতিথেয়তা তারা কোথায় শিখলো। পরে মনে হলো, হজরত শাহজালাল (রহ.) তো বন্দুক দিয়ে, তলোয়ার দিয়ে, ভয় দেখিয়ে ইসলাম প্রচার করেননি। তিনি ইসলাম প্রচার করেছেন সুন্দর ব্যবহার দিয়ে। সেই ধারাটাই এখনও মাজারের লোকজনের মধ্যে রয়ে গেছে।

সুনামগঞ্জে আপনাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল…।
হ্যাঁ, তবে এ ব্যাপারেও আগে থেকে আমি খুব বেশি কিছু জানতাম না। জায়গাটা সুনামগঞ্জের একেবারে সীমান্তে। গন্তব্যে পৌঁছানোর কয়েক কিলোমিটার আগে হঠাৎ আমাদের সঙ্গে যুক্ত হলো অনেকগুলো মোটরসাইকেল। তারা সামনে-পেছনে ভাগ হয়ে হুইসেল দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এত সম্মান আসলে আমি পাওয়ার যোগ্য ছিলাম না। এভাবে আমরা পৌঁছালাম ছাতক উপজেলার আলীগঞ্জ বাজারে। আলীগঞ্জ নামটার পেছনে একটা ইতিহাস আছে। আলী ছিলেন একজন আউলিয়া, যিনি হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর সঙ্গে বাংলায় এসেছিলেন। ওখানে প্রায় বাড়িতেই ওলি-আউলিয়াদের কবর আছে। শুনেছি, সিলেটের ৩৬০ আউলিয়ার ৩০০ জনের কবরই আলীগঞ্জ এবং এর আশপাশের এলাকায়। এই ভেবে প্রচণ্ড আনন্দ হচ্ছিল যে, এই আউলিয়াদের মাধ্যমে এই ভূখণ্ডে আল্লাহর নাম ছড়িয়ে পড়েছিল। 

সেখানে আপনার পরিচিত কেউ ছিল?
দু’একজন পরিচিত ছিল। এসব আয়োজনের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন কবির নামে একজন। আমার অবাক হওয়ার তখনও অনেক বাকি। দেখলাম, পুরো আলীগঞ্জ বাজারজুড়ে প্যান্ডেল। মানুষগুলো অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে বসে আছে। বাজারের হাজারো মানুষ আমাকে সম্মান জানাল, আমিও অবনত মস্তকে সম্মান গ্রহণ করলাম। এরপর চলে গেলাম কবির সাহেবদের গ্রামের বাড়িতে। সেখানে চারটা মানুষ আমার সেবার জন্য অলটাইম আমার পেছনে লেগে থাকলো। তাদের আন্তরিকতা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আবারও মনে হলো, আউলিয়াদের কাছ থেকেই তারা এই ভালোবাসা শিখেছে। আমি সেখানে কী পেয়েছি, সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা হলো, আমি অনেক কিছু শিখেছি। বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলবাজ নেতাদের ভালোবাসাহীনতা, কুকীর্তি, মানুষের ওপর অত্যাচারের যেসব কথা আমরা জানি, এ যেন তার সম্পূর্ণ বিপরীত দৃশ্য। আমি যেন জীবনকে নতুন করে উপলব্ধি করলাম।

নিউইয়র্কে আসার পর সিলেট প্রবাসীদের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল?
নিউইয়র্কে ফেরার পরও যেন সিলেটের মানুষের সেই আতিথেয়তার রেশ কাটতে চাইলো না। এখানে সিলেটের যেসব প্রবাসীরা আছেন, তারা তাদের অনুষ্ঠানে আমাকে দাওয়াত দিলেন। না করা সম্ভব হয়নি। তাদের দাওয়াতে নৌবিহারে গেলাম। সেখানে তারা আমাকে আশাতীত ভালোবাসা উপহার দিয়েছে।

আপনি তো বীর মুক্তিযোদ্ধা। দেশ স্বাধীন করার বোধটা কখন জাগ্রত হলো?
যখন ক্লাস এইটে উঠলাম, নাকে রাজনীতির গন্ধ এসে লাগলো। দেশ তখন উত্তাল। তখনও শেখ মুজিবুর রহমান ‘বঙ্গবন্ধু’ হয়ে ওঠেননি। তিনি সন্দ্বীপে আসলেন বক্তৃতা করার জন্য। সময়টা ১৯৬৬। জীবনে প্রথম মাঠে গিয়ে বক্তৃতা শুনলাম এবং এত বড় একজন নেতা দেখলাম। বক্তৃতার সব কথা বুঝলাম না, কিছু কিছু কথা বুঝলাম। তাতেই ভেতরে একটা অস্থিরতা অনুভব করলাম। মনে মনে দখলবাজদের কাছ থেকে দেশকে মুক্ত করার শপথ গ্রহণ করলাম।

ছাত্রজীবনে আপনি কবিতা লিখতেন। এ ব্যাপারে জানতে চাই…। 
বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শোনার পরের বছর, অর্থাৎ ১৯৬৭ সালের কথা। বাংলা একাডেমি থেকে দেশাত্ববোধক সংগীত ও কবিতা প্রতিযোগিতার ঘোষণা আসলো স্কুলগুলোতে। অ্যাসিসটেন্ট হেড মাস্টার ডেকে বললেন, আমি যেন কবিতা লিখি। শুনে ঘামতে লাগলাম। তবে শেষ পর্যন্ত অনেক কসরত করে ১২ লাইনের একটা কবিতা আমি লিখে ফেললাম। এই কবিতা লেখার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণ শোনার একটা প্রভাব ছিল। কবিতার প্রথম কয়েকটি লাইন এখনো মনে আছে—
জন্মভূমি তোমায় স্মরি
সবার আগে তাই
মায়ের চেয়ে মহান তুমি
তোমার মতো নাই

এই কবিতা স্যারের কাছে জমা দিলাম। পুরো পূর্ব পাকিস্তানে এই কবিতা সেকেন্ড হয়েছিল। এই হচ্ছে আমার জীবনের প্রথম পুরস্কার।

বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে আপনার ভাবনা কী?
আমি সমালোচক নই, তাই সমালোচনা করা আমাকে মানায় না। তারপরও ৭১-এ জীবন বাজি রেখে যেহেতু যুদ্ধ করেছি, তাই দেশের খারাপ দেখলে কষ্টে বুকটা ফেটে যায়। দলবাজ রাজনীতিবিদরা আমার প্রাণের দেশটাকে শেষ করে দিল। বাংলাদেশে যে যত বড় রাজনৈতিক নেতা, সে তত বড় মোনাফেক। এদের কাজই হলো সারাদিন একে অন্যের ব্যাপারে বিষদ্গার করা, গলাবাজি করে জাতিকে বিভক্ত করা। 

বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কতটা বিরাজমান?
আমাদের যে মহান মুক্তিযুদ্ধ, রাজনৈতিক স্বার্থে সেটাকেও বিকৃত করা হয়েছে। আমরা তো জানি কারা যুদ্ধ করেছে, কী প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়েছে। কিন্তু বইপুস্তকে আজ সেসব নেই। মুক্তিযুদ্ধে আমাদের যে সর্বাধিনায়ক, তার কথা কোথাও শুনবেন না। সেক্টর কমান্ডারদের কথা কোথাও শুনবেন না। এই হলো আমাদের বাংলাদেশ, আর এই হলো আমাদের রাজনীতি। মাঝে মাঝে মনে হয়, আমার জাতির সবচেয়ে সোনালী সময় মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস সময়। এ সময় কোনো দলাদলি ছিল না, কোনো হিংসা ছিল না। যদি আজকের মতো রাজনীতি থাকতো, তাহলে আমরা কখনোই বিজয়ী হতে পারতাম না। আজকের বাংলাদেশে বিভক্তি-দলাদলি এমন মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে, এটা জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, গ্রাম হয়ে পরিবার পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। ভাইয়ে ভাইয়ে দ্বন্দ্ব হচ্ছে রাজনৈতিক কারণে। কী ভয়াবহ পরিস্থিতি!

দলাদলি তো প্রবাসেও আছে…।
অবশ্যই আছে। বাংলাদেশের দলাদলিটাই পৌঁছে গেছে নিউইয়র্ক পর্যন্ত। শুধু পৌঁছে গেছে বললে ভুল হবে, রীতিমতো প্রবাসীদেরকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। উত্তর আমেরিকায় ফোবানা সম্মেলন হচ্ছে অনেকদিন ধরে। মহৎ উদ্দেশ্য নিয়েই এর যাত্রা হয়েছিল। কিন্তু আজ এই ফোবানা সম্মেলনকে নিন্দা করা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই। এবার পাঁচ-ছয়টা জায়গায় আলাদা আলাদা সম্মেলন হলো। এর মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি খারাপ আর দলাদলির জাতি হিসেবে উপস্থাপন করা হলো। এরা জাতির ইমেজটাকে সর্বনাশ করেছে।


চ্যানেল৭৮৬ এর নিউজ রুম এ যোগাযোগ করতে ইমেইল করুন এই ঠিকানায় [email protected] । আপনার পণ্য বা সেবার প্রচারে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কল করুন +1 (718) 355-9232 এই নাম্বারে।

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ