Channel 786 | চ্যানেল ৭৮৬ | Community Bangla Newspaper

জাতির মুক্তির জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন বঙ্গবন্ধু

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২:২৩, ১৭ আগস্ট ২০২৩

জাতির মুক্তির জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন বঙ্গবন্ধু

বাঙালি জাতির ইতিহাসে কলঙ্কের কালো দাগ হয়ে আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড। প্রতি বছর ফিরে আসে এই বেদনাবিধূর দিন। শুধু বাংলাদেশে নয়, বিভিন্ন দেশে থাকা প্রবাসীরাও এদিন শোক পালন করে থাকেন। এ নিয়ে চ্যানেল ৭৮৬-এর সঙ্গে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাছিব মামুন

১৫ আগস্টকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করেন?
আসলে আমরা বাঙালি জাতি অনেক দূর্ভাগা। যে ব্যক্তিটি পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে আমাদেরকে মুক্ত করলেন, জাতির মুক্তির জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করলেন, সেই তাকেই নৃশংসভাবে হত্যা করলো এদেশেরই কিছু কুলাঙ্গার। এর চেয়ে দূর্ভাগ্যের আর কী হতে পারে! এটা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা নয়, এটা ছিল আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতিকে সম্পূর্ণ উল্টোদিকে ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা। এই হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে আমরা বিশ্বের কাছে একটা বেঈমান জাতি হিসেবে পরিচিতি পেলাম।

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে বিচারের মুখোমুখি করার সম্ভাবনা কতটুকু?
যুক্তরাষ্ট্রেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন খুনি রয়েছে। তাকেসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশে থাকা খুনিদের দেশে পাঠাতে এবং বিচারের মুখোমুখি করতে আমরা বরাবরই আন্দোলন করে যাচ্ছি। এটা আমরা শুধু আওয়ামী লীগের ব্যানারেই করছি না, সাধারণ প্রবাসীরাও আমাদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। আমেরিকায় থাকা অনেক বাংলাদেশি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষক, চাকরিজীবীও আমাদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন। এদেশের সংবিধান মেনে, আইনের মধ্যে থেকে যতটুকু সম্ভব, ততটুকু আন্দোলন করে যাচ্ছি। শুধু আন্দোলন নয়, নানাভাবে মার্কিন সরকারের কাছে খুনিদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য জোর লবিং করছি। আমরা আশাকরি, আমাদের এই সংগ্রাম বৃথা যাবে না।

খুনিদের পালানোর দায় কে নেবে?
শুধু হত্যা করা নয়, জাতির জনকের হত্যাকাণ্ডের বিচার যাতে না করা যায়, সেই ব্যবস্থাও করেছিল পরবর্তী সরকার। এজন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হলো। যারা খুনী, তাদেরকে চাকরি দেওয়া হলো, রাষ্ট্রদূত করা হলো, নানাভাবে পুরস্কৃত করা হলো। এতে খুনীরাও বীরের বেশে ঘুড়ে বেড়াল। বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় আসলেন, তিনি চাইলেই রাতারাতি নানা ট্রায়াল দিয়ে খুনীদের বিচার করতে পারতেন, কিন্তু তিনি তা করেননি। তিনি আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন, তাই বিচারকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে দিয়েছেন। কুখ্যাত ইনডেমনিটি আইন বাতিল করা হলো, তারপর ধীরে ধীরে কয়েকজন খুনীর বিচার এবং রায় কার্যকর করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেটা কতটুকু সম্পন্ন হয়েছে?
আমরা যতটুকু আশা করেছিলাম, তারচেয়ে বেশি হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা দেশকে দুর্বার গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বহির্বিশ্ব থেকেও বারবার বলা হচ্ছে, শেখ হাসিনার হাতে বাংলাদেশের চেহারা পাল্টে গেছে। আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশ। শেখ হাসিনার ভিশন অনুযায়ী ১৯৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হিসেবে আর্ভিভূত হবে।


চ্যানেল ৭৮৬ এর নিউজ রুম এ যোগাযোগ করতে ই মেইল করুন এই ঠিকানায় [email protected] । আপনার পন্য বা সেবার প্রচারে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কল করুন +1 (718) 355-9232 এই নাম্বারে।

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ