Channel 786 | চ্যানেল ৭৮৬ | Community Bangla Newspaper

‘স্বপ্নের আইটি জব পেতে চাইলে ট্রান্সফোটেকের বিকল্প নেই’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০২:১৪, ২৫ আগস্ট ২০২৩

‘স্বপ্নের আইটি জব পেতে চাইলে ট্রান্সফোটেকের বিকল্প নেই’

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি মালিকানাধীন জনপ্রিয়, সফল ও নামকরা আইটি প্রশিক্ষণ সেন্টার ট্রান্সফোটেক একাডেমি। প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে বাঙালি কমিউনিটির বাইরেও। এতে কোর্সের পাশাপাশি দেওয়া হচ্ছে জবের নিশ্চয়তা। ট্রান্সফোটেক একাডেমির আদ্যোপান্ত নিয়ে চ্যানেল ৭৮৬ এর মুখোমুখি হয়েছেন ম্যানেজার নাহিয়ান রহমান

আরও প্রতিষ্ঠান থাকতে মানুষ ট্রান্সফোটেককে বেছে নেবে?
যদি একটা শব্দে বলতে চাই তাহলে বলবো-ফ্লেক্সিবিলিটি। ট্রান্সফোটেক একাডেমিতে যারা প্রশিক্ষণ নেন, তারা প্রায় সবাই কোনো না কোনো কাজের সঙ্গে যুক্ত। কোর্সে খুব বেশি সময় দিতে পারেন না। তাই আমরা বলি, খুব বেশি নয় সপ্তাহে একদিন সময় দিতে পারলেই হবে। এর পরও কেউ যদি ক্লাস মিস করে তাহলে তার জন্য রয়েছে আলাদা ইন্সট্রাকটর। ওয়ান-ইন-ওয়ান ক্লাসও আমরা এরেঞ্জ করে থাকি। শুধু তাই নয়, অসুস্থতা কিংবা অন্য কোনো কারণে কেউ কোর্স শেষ করতে না পারলে তিনি চাইলে বিনা ফিতেই পরবর্তী ব্যাচের সঙ্গে নতুনভাবে শুরু করতে পারেন। সবমিলিয়ে একজন প্রশিক্ষণার্থীর জন্য যেভাবে সুবিধা, সেভাবেই আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তাছাড়া আমাদের এখানে ভর্তি এবং কোর্স সম্পন্ন করার পুরো প্রোসেসটাতে কোনো জটিলতা নেই।

ট্রান্সফোটেক একাডেমির সঙ্গে আপনার যুক্ত হওয়া কীভাবে?
দুই বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমার সম্পর্ক এবং বন্ধুত্ব। তার পর থেকে ট্রান্সফোটেক একাডেমিকে আমি নিজের প্রতিষ্ঠানের মতো আগলে রাখার চেষ্টা করছি। আমাদের যিনি সিইও শেখ গালিব রহমান, তার সাথে আমার অনেক আগে থেকেই সম্পর্ক। তিনি আমাকে এখানে কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন সেজন্য আমি তার প্রতি ভীষণ কৃতজ্ঞ।

বর্তমানে আপনাদের সঙ্গে কতজন শিক্ষার্থী রয়েছেন?
সবমিলিয়ে এই মুহূর্তে আমাদের সঙ্গে একটিভ আছেন ২৩০ জন শিক্ষার্থী। নিউইয়র্কে আমাদের মেইন ব্রাঞ্চ, এছাড়া লস অ্যাঞ্জেলেসে একটি শাখা আছে। কোভিডের কারণে কোর্সগুলোকে অনলাইন করতে বাধ্য হয়েছি আমরা। আসলে এই সেক্টরের জবগুলোও এখন রিমোর্ট হয়ে গেছে। যাইহোক, অনলাইন-অফলাইন মিলিয়ে আমাদের শিক্ষার্থী সংখ্যা কমবেশি ২৩০।

ট্রান্সফোটেক একাডেমিতে ভর্তি হওয়ার প্রক্রিয়াটা কি?
যারা ভর্তি হতে চান, তারা প্রথমেই ওয়েবসাইটে যাবেন দয়া করে। ওয়েবসাইটটা হলো transfotechacademy.com। এখানে ভর্তির ব্যাপারে দরকারি সকল তথ্য আছে। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগের ঠিকানা, ফোন নম্বর, ভর্তির নিয়ম-কানুন সব আছে। এছাড়া আমার সঙ্গে পারসোনালি অনেকের কথা হয়, তারা আমার কাছ থেকে জেনে নিতে পারেন বিস্তারিত। আমাদের ফাউন্ডার গালিব ভাইও নিজের সেলফোন ওপেন করে রাখেন যে কোনো যোগাযোগের জন্য। শিক্ষার্থীদের জন্য আমাদের দরজা সবসময় খোলা।

জবের ক্ষেত্রে ইন্টারভিউ একটা গুরুত্বপূর্ণ পার্ট। এক্ষেত্রে আপনারা কীভাবে সহায়তা করেন?
প্রথমত, ভালো একটা রিজিউমি তৈরিতে আমরা সক্রিয়ভাবে হেল্প করে থাকি। কোর্স শেষে শিক্ষার্থীরা কীভাবে বিভিন্ন কোম্পানিতে জবের জন্য এপ্লাই করবে, হাতেকলমে তার প্রশিক্ষণও দেয় ট্রান্সফোটেক একাডেমি। ইন্টারভিউতে কী প্রশ্ন হতে পারে, কীভাবে প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে হবে—সেটা বোঝার জন্য প্রত্যেকের জন্য আলাদাভাবে মক ইন্টারভিউয়ের আয়োজন করা হয়। সেখানে আমাদের অভিজ্ঞ ট্রেইনাররা থাকেন।

জবের ব্যাপারে ট্রান্সফোটেক একাডেমি থেকে কোনো রিকমান্ডেশন থাকে কি?
অবশ্যই থাকে। একদম শুরুর দিকে আমাদের ওনার গালিব ভাই তার নিজের প্রজেক্টেই শিক্ষার্থীদের রেফার করতেন। পারসোনাল রেফারেন্সেই আমরা আসলে শুরু করেছিলাম। পরে আমাদের পরিধি বাড়তে শুরু করল, শিক্ষার্থী বাড়তে শুরু করল। যখন শিক্ষার্থী বাড়তে শুরু করল তখন আমাদের এখান থেকে বেরিয়ে জবে জয়েন করা প্রত্যেকের আলাদা আলাদা কানেকশন তৈরি হতে লাগল। আমরা সেটাকেও কাজে লাগাতে শুরু করলাম। দেখা গেল, আমাদের সাবেক শিক্ষার্থীরা সদ্য সাবেক শিক্ষার্থীদের রেফার করে দিচ্ছে চাকরির জন্য। সবমিলিয়ে আমরা একটা শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি।

কোর্স শেষে চাকরির ব্যাপারটা কি কনফার্ম?
জব পাওয়া যাবে কি, যাবে না…এটা ভেবে দ্বিধান্বিত হওয়ার কিছু নেই। প্রশিক্ষণ নিতে ইচ্ছুকদের উদ্দেশে বলবো, আপনার যদি একটা স্বপ্নের আইটি জব প্রয়োজন হয়, তাহলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে দ্বিধা রাখবেন না। আমাদের সাফল্যই সেটা আপনার কাছে স্পষ্ট করে দেবে। আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই আছেন, যারা বছরে ১ লাখের বেশি ডলার স্যালারি পায়। এটা তাদের প্রথম চাকরি, এরপর তারা স্বাভাবিকভাবেই অনেক দূর যাবে। শেষ পর্যন্ত এসব জবে ৩ লাখ ডলারও বেতন হয়।

ট্রান্সফোটেক কীভাবে শিক্ষক বাছাই করে?
ম্যারাডোনা ভালো প্লেয়ার ছিলেন কিন্তু ভালো কোচ ছিলেন না। তেমনি কিছু লোক আছে ভালো আইটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছে, হাই স্যালারি পাচ্ছে, ডিরেক্টর লেভেলে আছে কিন্তু তারা শিক্ষক হিসেবে ভালো নন। আমরা আসলে শিক্ষক বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কোয়ালিটি হিসেবে দেখি কার কমিউনিটি স্কিল কত ভালো, ইয়াং কিনা, যাদের আগে থেকে টিচিং ব্যাকগ্রাউন্ড আছে, যারা এই পেশাটাকে পছন্দ করে। আমরা কিন্তু একটা ইন্টাভিউয়ের পরপরই সিদ্ধান্ত নেই না যে, কোন লোকটা আমাদের টিচার হবে। আমাদের পছন্দের শর্টলিস্টে যারা আসেন, তাদের নিয়ে আমরা ঘুরতে যাই, ডিনার করি। এই প্রক্রিয়ায় যাকে খুব স্কিলফুল মনে হয়, তাকেই ট্রান্সফোটেক একাডেমির শিক্ষক হিসেবে বাছাই করা হয়।

ফিজিক্যাল ক্লাস কবে শুরু হচ্ছে?
শিগগিরই। লস অ্যাঞ্জেলেস শাখায় ফিজিক্যাল ক্লাস শুরু করতে যাচ্ছি। আমাদের অফিসে এসে অনেকেই স্বশরীরে বিভিন্ন সহযোগিতা নিয়ে থাকেন। এখানে একটা কথা বলার আছে। কোভিড শেষ হলেও অনেকেই এখনও ভার্চুয়াল ক্লাস করতে আগ্রহ দেখান। এই সংখ্যাটা ফিজিক্যাল ক্লাস চাওয়া লোকদের চেয়ে বেশি।

ট্রান্সফোটেক একাডেমিকে কোথায় দেখতে চান?
এখন পর্যন্ত আমরা যতটুকু পথ হেঁটেছি, তাতে আমরা সন্তুষ্ট। বাঙালি কমিউনিটিতে আমাদের দারুণ জায়গা তৈরি হয়েছে। শুধু তাই নয়, ট্রান্সফোটেক একাডেমিকে আমরা ফেডারেল লেভেলে নিয়ে গেছি। বর্তমানে আমরা বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির সঙ্গে কোলাবোরেট করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে যে মাস্টার্স প্রোগ্রাম হয়, সেখানে ৬০ ক্রেডিট থাকে। আমরা একটা সমঝোতায় যাচ্ছি, তা হলো- তাদের ৬০ ক্রেডিটের মধ্যে ১০ অথবা ১২ আমরা পড়াবো। বাঙালি কমিউনিটির একটা প্রতিষ্ঠান হয়ে আমরা যে আমেরিকার ইউনিভার্সিটির সঙ্গে কোলাবোরেট করতে পারছি, সেটা নিশ্চয়ই দারুণ গর্বের বিষয়। ভবিষ্যতে এমন কোলাবোরেশন আরও বাড়াতে চাই।


চ্যানেল ৭৮৬ এর নিউজ রুম এ যোগাযোগ করতে ইমেইল করুন এই ঠিকানায় [email protected]। আপনার পণ্য বা সেবার প্রচারে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কল করুন +1 (718) 355-9232 এই নাম্বারে।

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ