Channel 786 | চ্যানেল ৭৮৬ | Community Bangla Newspaper

ভিডিও গেমে কাবা শরিফ ধ্বংস: কী বলছেন নিউইয়র্কের আলেমরা

সাইদ রহমান

প্রকাশিত: ২২:৪৫, ৫ জুলাই ২০২১

আপডেট: ২৩:০১, ৫ জুলাই ২০২১

ভিডিও গেমে কাবা শরিফ ধ্বংস: কী বলছেন নিউইয়র্কের আলেমরা

ডান থেকে ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মুহাম্মদ মনজুরুল করিম, মুফতি নোমান কাশেমি

ভিডিও গেমের সঙ্গে সবাই কমবেশি পরিচিত। একটি ধাপ পেরিয়ে আরেকটি ধাপে যেতে হয়, যা শিশুদেরকে আকৃষ্ট করে। এমনই একটি গেমের নাম ‘ফর্টনাইট’। গেমটির চূড়ান্ত ধাপে কাবা শরিফকে ধ্বংস করতে হয়। এই গেম নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। ইতোমধ্যেই এর বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করেছে আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়। ইস্যুটি নিয়ে কী বলছেন নিউইয়র্কের আলেমরা, জানার চেষ্টা করেছে চ্যানেল ৭৮৬।

‘এটা মুসলমানদের অস্তিত্বের ওপর আঘাত’
ফখরুল ইসলাম আলমগীর
ইমাম, মসজিদ আত তাওহীদ, নর্থ মিয়ামি

গেমে হোক কিংবা কার্টুনে, এভাবে কাবা ঘর ধ্বংস করা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং মহা অন্যায়। গেমে রাখার মতো, ধ্বংস করার মতো কোটি কোটি জিনিশ আছে দুনিয়াতে, কাবা ঘরকে রাখতে হবে কেন? মনে রাখা দরকার, পবিত্র কাবা ঘর মুসলমানদের অস্তিত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি বিষয়। এটা মোটেও ছেলেখেলার কোনো বিষয় নয়। তাছাড়া এই গেমস খেলছে বাচ্চারা। এতে করে তাদের মনোজগতে এক ভয়াবহ ব্যাপার ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে, কাবা ঘরকেও ধ্বংস করা যায়। এটা শিখে তারা বড় হচ্ছে, বিষয়টি নিয়ে এখনই পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ভয়ানক পরিকল্পনার অংশ’
মুহাম্মদ মনজুরুল করিম
ইমাম, মসজিদ মিশন সেন্টার

বিষয়টা গেমের মধ্যে হলেও এটাকে নিছক গেমের মতো করে দেখার সুযোগ নেই। নিঃসন্দেহে এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং সবচেয়ে বড় কথা, এটা মুসলমানদের বিরুদ্ধে ভয়ানক এক পরিকল্পনার অংশ। যারা এই গেমস বানিয়েছে তারা জানে, কাবা হলো সারা পৃথিবীর মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল একটা বিষয়। তাই মুসলমানদেরকে আঘাত করার জন্য এই বিষয়টির অবতারণা করা হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এ নিয়ে মুসলমানদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ করতে হবে।

‘বাচ্চাদেরকে এই গেম থেকে দূরে রাখতে হবে’
মুফতি নোমান কাশেমি
ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম ও গবেষক

এটা অত্যন্ত জঘন্য একটা বিষয়। এর বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। একইসাথে বাচ্চাদেরকে এই গেম থেকে দূরে রাখতে হবে। অত্যন্ত সুকৌশলে একটি শিশুর মধ্যে কাবা ঘর নিয়ে অশ্রদ্ধা তৈরি করার লক্ষ্যে এই গেম তৈরি করা হয়েছে। তাই আমরা যারা অভিভাবক আছি, তাদেরকে সচেতন হতে হবে, সাবধান হতে হবে। এটাকে সহজভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই। সবার কাছে অনুরোধ, যে যার জায়গা থেকে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবেন। যদি ধর্মীয় অনুভ‚তিতে আঘাতের কথাও বলা তাহলে সেদিক থেকেও এটা অনেক বড় আঘাত।

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ