Channel 786 | চ্যানেল ৭৮৬ | Community Bangla Newspaper

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের বর্বরতা

‘শিশু আগ্রাসনে দায়ী ক্ষমতাসীনদের স্বার্থসিদ্ধি’

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:৫১, ৭ জুন ২০২১

‘শিশু আগ্রাসনে দায়ী ক্ষমতাসীনদের স্বার্থসিদ্ধি’

কাজী জহিরুল ইসলাম

নিউইয়র্কের কমিউনিটি নিউজ নেটওয়ার্ক চ্যানেল ৭৮৬’র নিয়মিত আয়োজন ‘নিউইয়র্ক ডায়েরি’-তে অতিথি হয়ে এসেছিলেন খ্যাতিমান লেখক কাজী জহিরুল ইসলাম। সমসাময়িক আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট, লেখালেখিসহ নানা ইস্যুতে নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

৪ জুন International Day of Innocent Children Victims Aggression-‘আগ্রাসন’ শব্দের ব্যাখ্যা আপনি কিভাবে দিবেন? 
কাজী জহিরুল ইসলাম: আগ্রাসন মানেই তো গ্রাস করা, অত্যাচার করা, অমানবিক আচরণ করা। সমাজের বিভিন্ন মানুষের সাথে এই আগ্রাসী আচরণ হয়ে থাকে এবং সেটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তবে সেটা যখন শিশুদের সাথে হয় নিঃসন্দেহে এটা ঘৃণ্য আচরণ।
 
এই আগ্রাসনের কারণ কি?
সমাজের শ্রেণি ভেদাভেদ এবং সেই শ্রেণির মানুষের ক্ষমতায় অপব্যবহারের কারণেই এই আগ্রাসন চলে আসছে। যারা উচ্চবিত্ত বা ক্ষমতাসীন তারা তাদের মতো করে মনগড়া ভাবে সমাজকে পরিচালিত করতে চায়। তাদের চাওয়া থেকেই সমাজের অন্য শ্রেণির মানুষ আগ্রাসনের শিকার হচ্ছেন। ইসরায়েল প্যালেস্টাইন যুদ্ধে আমরা দেখেছি ক্ষমতার প্রভাব দেখাতে যেয়ে তারা নারী এবং শিশুদের ওপর আক্রমণ করছে। 

শিশু আগ্রাসনের জন্য কোন শ্রেণি দায়ী? 
শিশু আগ্রাসন খুব বেশি পুরনো নয়। ইসরায়েলেই কিন্তু শিশু আগ্রাসনের সূত্রপাত। এই যে ইসরায়েল এবং প্যালেস্টাইন যুদ্ধ, এই যুদ্ধটা কিন্তু কোনো দেশেরই মানুষ চায় না। হয়তো দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান চাচ্ছেন। বাকি কেউই কিন্তু চায় না। তার মানে যারা ক্ষমতাসীন আছেন, রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আছেন তাদের স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্য এই জন্য মুখ্য ভাবে দায়ী।

এই অবস্থা থেকে কিভাবে পরিত্রাণ মিলতে পারে?
এই জন্য সবার প্রথমে জনমত তৈরি করতে হবে। যেটা আগে বলছিলাম যে কোনো দেশই হানাহানি, যুদ্ধ চায় না। জনগণ আগে তাদের চাওয়াটা বলুক। তাদের ভয়েস রেইজ হোক। তারপরও হস্তক্ষেপের জন্য যে দুটো দেশের ভেতরে এই আগ্রাসী মনোভাব পরিলক্ষিত হয়, তাদের মাঝে তৃতীয় এমন কাউকে বা কোনো সংস্থা, দেশকে নিয়ে আসতে হবে যার কথা উভয় দেশই মানে। সেভাবে বললে হয়তো অনেকাংশেই কমে যাবে।

বর্তমানে কি নিয়ে লেখালেখি করছেন? 
আমি এই মুহূর্তে একটা ইন্টারেস্টিং বিষয় নিয়ে লিখছি। লিখছি, সমাজের বিভাজন নিয়ে। বিভিন্ন বিষয়ে দেখা যায় যে রাজনৈতিক কিছু বিষয় থাকে। সেটা হতে পারে সংগঠন, সংস্থা, পত্রপত্রিকা কিংবা কোনো জায়গা। যেখানে হয়তো যে কোনো একটা দলের প্রভাব বিস্তার হয়। একটা জায়গা সেই দলেরই অধীনে এবং আরও একটা বিষয় আছে। সেটা হচ্ছে আমাদের সমাজ এমন একটা বিষয় আছে। আজকাল চাকরিরত যে কেউ হলে আমরা বলি এতো বেতন বা স্কেল। তাহলে সাথে সাথেই প্রশ্ন আসে যে উপরি কতো। মানে এটাই যেন নিয়ম। এখানেও সবার সত্যি বলার সাহস থাকতে হবে। আড়ালে বা পিছনে না বলে সামনা-সামনিই বলা শিখতে হবে। বাংলাদেশের ১৮কোটি মানুষের সবাই তো খারাপ নয়। হয়তো ১লাখ খারাপ। বাকি ১৭কোটি ৯৯লাখ মানুষ যদি একটু একটু করে বলতে শিখে তাহলেই তো আর এই ব্যাপারটা হয় না।

এফএম-৭৮৬ এখন চ্যানেল-৭৮৬ এ রুপান্তরিত হলো। এ বিষয়ে যদি কিছু বলতেন?
এটাই চাই যেন আপনারা এফএম’র সেই গতানুগতিক নিয়ম থেকে বের হয়ে নতুনভাবে শুরু করবেন। যেন অন্যান্য টিভি চ্যানেলের মতোই স্যাটেলাইট চ্যানেল আকারে আসুক। পরিবর্তন যেন উন্নতির জন্যই হয়। আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ