আবৃত্তিশিল্পী হিসেবে দেশে-বিদেশে সুপরিচিত নাম দিলারা নাহার বাবু। তার জাদুকরী কণ্ঠে কবিতার যে ভাব ফুটে ওঠে, তাতে বুঁদ হয়ে থাকে হাজারও দর্শক। কানাডার টরেন্টো থেকে যুক্ত হয়ে চ্যানেল৭৮৬-এর দর্শকদের কবিতা শুনিয়েছেন এই গুণী আবৃত্তিকার। সঙ্গে জানিয়েছেন তার আবৃত্তিশিল্পী হয়ে ওঠার গল্প।
আপনার আবৃত্তির জার্নির একদম শুরুটা কেমন ছিল?
আসলে কবিতার শব্দ-ছন্দগুলো হয়তো আমার ভেতরের খুব গভীরে লুকিয়ে ছিল। যখন খুব ছোট ছিলাম, সেটা বুঝতে পারিনি। একটু বড় হওয়ার পর কবিতার শব্দগুলো আমাকে ছুঁয়ে যেতে থাকলো। কবিতা খুব ভালো লাগতো, আকর্ষণ করতো। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে খুব একটা আবৃত্তি করা হয়নি। তবে নিজে নিজে গুনগুন করতাম।
আবৃত্তিশিল্পী হতে যাচ্ছেন-এটা কখন বুঝলেন?
আমার আবৃত্তির মূল জার্নিটা শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে। আমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম। ক্লাস শেষে বাসে করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে চলে আসতাম। তখন পরিচয় হয় একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণী আবৃত্তিশিল্পী, আমাদের পরমপ্রিয় মানুষ ভাস্বর বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তিনি ছিলেন আমার আবৃত্তির প্রশিক্ষক। কয়েকদিন তার কাছে শেখার সুযোগ পেলাম। সেই প্রশিক্ষণই আমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে আবৃত্তির দিকে ঠেলে দিয়েছে।
কানাডায় এসে কীভাবে আবৃত্তির সঙ্গে যুক্ত হলেন?
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষটা খুব ব্যস্ততায় কাটল, তাই ওইসময় আবৃত্তির যথাযথ চর্চা করা হতো না। তারপর একটা সময় তো দেশের বাইরে চলে এলাম। কিন্তু ওই সময় ব্যস্ততার মধ্যেও মনের মধ্যে যেন কবিতারা কথা বলতো। যখনই সময় পেতাম, গুনগুন করে আবৃত্তি করতাম। টরেন্টাতে আবৃত্তির গ্রুপে যুক্ত হলাম। ধীরে ধীরে দল ভারী হতে থাকল। আবৃত্তির আনুষ্ঠানিক চর্চাটাও এখন অনেকটা বেড়েছে। এখানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করে থাকি। এই শিল্পটা আসলে আমি এনজয় করে থাকি।
আবৃত্তির মধ্য দিয়ে কোথায় যেতে চান?
সত্যি কথা বলতে কী, আমি বড় কোনো আবৃত্তিশিল্পী নই। আবৃত্তি করে আনন্দ পাই, তাই করি। তবে আমি স্বপ্ন দেখি বড়। আবৃত্তির মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে চাই। আমার কণ্ঠে জগদ্বিখ্যাত কবিদের কবিতার ছন্দ ছড়িয়ে পড়ুক পৃথিবীর সকল বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কাছে। এটুকু করতে পারলে নিজেকে ভীষণ স্বার্থক মনে করবো।
চ্যানেল ৭৮৬ এর নিউজ রুম এ যোগাযোগ করতে ই মেইল করুন এই ঠিকানায় [email protected] । আপনার পন্য বা সেবার প্রচারে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কল করুন +1 (718) 355-9232 এই নাম্বারে।