Channel 786 | চ্যানেল ৭৮৬ | Community Bangla Newspaper

নিউইয়র্ক ডায়েরি

কবিতা আমার প্রাণ-আরাধ্য: কাজী জহিরুল ইসলাম

তানজিদা মেহের

প্রকাশিত: ১৫:১৬, ৬ জুলাই ২০২১

আপডেট: ১৮:৩৯, ৬ জুলাই ২০২১

কবিতা আমার প্রাণ-আরাধ্য: কাজী জহিরুল ইসলাম

কাজী জহিরুল ইসলাম

চ্যানেল ৭৮৬'র নিয়মিত আয়োজন 'নিউইয়র্ক ডায়েরি'-তে অতিথি হয়ে এসেছিলেন জনপ্রিয় কবি-লেখক কাজী জহিরুল ইসলাম। সমসাময়িক নানা বিষয়ে আলোচনা করেছেন তিনি ।

কেমন আছেন?

কাজী জহিরুল ইসলাম: আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছি।

সম্প্রতি ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারি নির্বাচনে দু'জন বাংলাদেশির সাফল্য পেয়েছে, একজন বাংলাদেশি হিসেবে আপনার অনুভূতি কেমন?

কাজী জহিরুল ইসলাম: খুবই ভালো। বাংলাদেশি হয়ে অন্য বাংলাদেশিদের জয় নিঃসন্দেহে ভালো লাগারই মতো। আর আমেরিকার মতো এতো বড় একটা জায়গায় যখন জয়ী দেখি, সেটা অবশ্যই আনন্দের।

দু'জন প্রার্থীই নারী। নারীর ক্ষমতায়নের প্রতিফলন এখানে দেখা যাচ্ছে...

কাজী জহিরুল ইসলাম: এখানে নারীরা জয়ী হয়েছেন ঠিকই। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আদৌ কতোটা হচ্ছে সেটা ভাববার বিষয়। নারীর ক্ষমতায়ন তখনই হবে যখন নারী তার ইচ্ছেমতো পেশা বাছাই করে নিতে পারবেন। এবার আসি রাজনীতির বিষয়ে। আমাদের দেশে যে সকল নারীরা রাজনীতি করছেন তারা সবাই কোনো না কোনো ভাবে উত্তরাধিকার সূত্রে এসেছেন। কেউ বাবার বরাত দিয়ে, কেউবা স্বামীর। এই উত্তরাধিকার ট্রেডিশন থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তাহলে যথাযথভাবে ক্ষমতায়ন সম্ভব।

২৩ শে জুন পলাশী দিবস গেলো, দিবসটির পটভূমি-ফলাফল নিয়ে যদি কিছু বলতেন?

কাজী জহিরুল ইসলাম: এটা শুধুমাত্র বাঙালিদের জন্যই না ভারত উপমহাদেশের সবার জন্যই অত্যন্ত বেদনার একটা অধ্যায়। ১৭৫৭ সালের এই যুদ্ধের জন্যই ভারতবর্ষে ২০০ বছর ব্রিটিশদের কাছে অত্যাচারীত হয়েছে, লাঞ্চিত ও বঞ্চিত হয়েছে। আমাদের পূর্বপুরুষরা এই বিষয়ে কথা বলতে গেলেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়তেন।

সম্প্রতি কি নিয়ে লেখালেখি করছেন?

কাজী জহিরুল ইসলাম: আমি কবি মানুষ। কবিতা আমার প্রাণ, আমার আরাধ্য। দুই দিন কবিতা না লিখলে আমি অস্থির হয়ে যাই। তাই কবিতাই লিখছি। নতুন বেশ কিছু কবিতা লিখছি।

আপনার চিত্রকর্ম কেমন চলছে?

কাজী জহিরুল ইসলাম: ছবি আঁকাটা আমার কাছে ইদানীং নেশা এবং অভ্যাসে পরিণত হচ্ছে। ছোট বেলা থেকেই আমার সৃজনশীল কাজ করতে ভালো লাগে। যদিও খুব ভালো আঁকি না। তবে আগের থেকে উত্তরণ হচ্ছে তা বুঝতে পারছি।

আগামীকাল নির্যাতনের শিকারদের সহায়তা এবং মাদকবিরোধী দিবস। দিবস দুটির তাৎপর্য জানতে চাই?

কাজী জহিরুল ইসলাম: কারো কথার বিরুদ্ধে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার করাটাই নির্যাতন। সেটা যদি নিজের সন্তান হয় তাও আপনার অধিকার নেই তাকে যখন তখন প্রহার করার। এটাও নির্যাতন। পিতা-মাতা হলেই সেটা করা উচিৎ নয়। এবার আসি মাদকবিরোধী দিবস। যা কিছু খাওয়া আমাদের অভ্যাস হয়ে যায়, না খেলে অস্থির লাগে তাই নেশা। তবে যে নেশাদ্রব্য গুলো আমার মস্তিষ্কের বিকৃতি ঘটায় সেগুলোকেই মাদক বলা হয়। কোরআনে মাদক নিয়ে আয়াতও আছে। আমরা যার যার ধর্মীয় বিশ্বাসের জায়গাটা যদি ঠিক রাখি সেক্ষেত্রেও মাদক দূরীকরণ সম্ভব। মাদকবিরোধ নিয়ে সারাবছর কথা বলতে হবে। এই দিনগুলোতে বেশি বেশি কথা বলতে হবে।


চ্যানেল ৭৮৬ এর নিউজ রুম এ যোগাযোগ করতে ই-মেইল করুন এই ঠিকানায় channel786[email protected] আপনার পণ্য বা সেবার প্রচারে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কল করুন (212) 729-0610 এই নাম্বারে।

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ