সাইয়েদ এম আলম
কমিউনিটি নিউজ নেটওয়ার্ক চ্যানেল ৭৮৬ এর নিয়মিত আয়োজন "নিউইয়র্ক ডায়েরি" তে আতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন ইনফরমেশন এন্ড টেকনোলোজি স্পেশালিস্ট এবং কমিউনিটি ডেভেলপার "সাইয়েদ এম আলম"। আমেরিকা-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আরিয়ানের সাথে আলোচনা করেছেন তিনি।
আরিয়ানঃ শুরুতেই অভিনন্দন জানাচ্ছি আজকের নিউইয়র্ক ডায়েরিতে।
সাইয়েদ এম আলমঃ আপনাকে ধন্যবাদ।
আরিয়ানঃ সিডিসির সংগ্রহ করা ৪৯ টি রাজ্যের সাম্প্রতিক তথ্যমতে কিশোরীদের আত্মহত্যার প্রবণতা আগের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে। বিশেষজ্ঞ রা বলছেন-ডিপ্রেশনের ফলে এমটা হচ্ছে।আপনি কি মনে করেন?
সাইয়েদ এম আলমঃ এটা অবশ্যই অনেক বেশি এলার্মিং সংবাদ।বিশেষ করে এই পরিস্থিতি কখনোই কাম্য নয়।করোনা মহামারীর মাঝে মানুষ ডিপ্রেশনে চলে যাচ্ছে অর্থনৈতিক টানাপোড়েন সহ নানা কারণে।তার ফলাফল হিসেবেই হয়তো এমন পরিসংখ্যান আমাদের দেখতে হচ্ছে।
আরিয়ানঃ পিউ রিসার্চ উন্নত ১২ টি দেশের উপর জরিপ চালিয়ে জানিয়েছেন জো বাইডেন প্রশাসন ক্ষমতা গ্রহণের পর আমেরিকার ভাব-মূর্তি ফিরে আসছে। আপনি কি এ বিষয়ে একমত প্রকাশ করেন?
সাইয়েদ এম আলমঃ অবশ্যই। ট্রাম্প প্রশাসনের চার বছরে যে ক্ষতি আমেরিকার হয়েছে সেখান থেকে আপনি দেখবেন উত্তরণের চেষ্টা করছেন জো বাইডেন প্রশাসন। আন্তর্জাতিকসম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বআরোপ করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের আগের লিডিং পজিশন ফিরিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে জো-বাইডেন প্রশাসন।
আরিয়ানঃ মেক্সিকো সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এই প্রশাসন কতটা ভূমিকা রাখছে বলে আপনি মনে করেছে?
সাইয়েদ এম আলমঃ ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস কিন্তু ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন,মেক্সিকো সীমান্তে অণুপ্রবেশ ঠেকাতে কেবল ব্যারিকেড ই সমাধান নয়। বরং মেক্সিকোতে তারা কোন ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়ছে এটাও গুরুত্বপূর্ণ, প্রয়োজনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রে। সুতরাং এই প্রশাসন সীমান্ত সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
আরিয়ানঃ নিউইয়র্ক নগরে আসন্ন ডেমোক্রেটিক প্রাইমারি নির্বাচনে শুধুমাত্র বাংলাদেশি প্রতিদন্ধী হিসেবে রয়েছেন ১১ জন।এ বিষয় টাকে আপনি কিভাবে দেখছেন?
সাইয়েদ এম আলমঃ আমি সব সময়ই ইউনিটির কথা বলি। আমরা যদি নিজের কমিউনিটির সবাই বসে আমাদের মাঝ থেকে একক প্রার্থীকে মনোনিত করতাম তাহলে কিন্তু আমাদের জয়ী হবার সম্ভাবনা অনেকগুণ বেড়ে যেত। অবশ্যই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কে কারো অধিকার আছে অংশগ্রহন করার।তবে কমিউনিটির সকলের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে একজন কে সবার সমর্থন দেয়াটাও কিন্ত গণতন্ত্রের মাঝেই পড়ে।
আরিয়ানঃ বাংলাদেশে ঘরোয়া ক্রিকেটে সাকিব আল হাসান এর আচরণ কিংবা আচরণের যৌক্তিকতা নিয়ে যদি কিছু বলতে চান।
সাইয়েদ এম আলমঃ আমাদের সাকিব আল হাসান এখন আন্তর্জাতিক সম্পদ। হ্যা এটা সাকিব আল হাসানের একটা প্রতিবাদ। সেটা করবার অধিকার ও তার রয়েছে। তবে প্রতিবাদের ভাষাটা অন্যরকম হতে পারতো। অবশ্য ঘরোটা ক্রিকেটের দুর্নীতি নিয়ে অনেক আলোচনা আছে।আলোচনা আছে আম্পারিং নিয়েও। সুতরাং সাকিব আল হাসানের এই প্রতিবাদের সাথে আমি একমত তবে এরকম ভাবে না।
আরিয়ানঃ এফ এম ৭৮৬ এখন চ্যানেল ৭৮৬। আরো বড় পরিসরে কাজ করবার প্রয়াস চালাচ্ছি আমরা।যদি এ বিষয়ে কিছু বলতে চান?
সাইয়েদ এম আলমঃ শুরুতেই অভিনন্দন জানাই।এই চ্যানেলের সিইও মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ভাইকে।এরপর এর সাথে যুক্ত সকলকে। আপনাদের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক এই প্রার্থনা করি।
আরিয়ানঃ আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমাদের সময় দেয়ার জন্য।ভালো থাকবেন।