Channel 786 | চ্যানেল ৭৮৬ | Community Bangla Newspaper

ল এন্ড ইমিগ্রেশন

বি-১, বি-২ ভিসা দুবারের বেশি এক্সটেন্ড না করাই উচিত

Tanzida Meher

প্রকাশিত: ০২:০১, ১০ জুন ২০২১

আপডেট: ০২:০৪, ১০ জুন ২০২১

বি-১, বি-২ ভিসা দুবারের বেশি এক্সটেন্ড না করাই উচিত

এ্যাটর্নি রাজু মহাজন

নিউইয়র্কের জনপ্রিয় কমিউনিটি নিউজ নেটওয়ার্ক এফএম-৭৮৬ এর প্রতি সাপ্তাহিক আয়োজন ‘ল এন্ড ইমিগ্রেশন’-এ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন এ্যাটর্নি রাজু মহাজন এন্ড এসোসিয়েটস-এর স্বত্তাধিকারী এ্যাটর্নি রাজু মহাজন। ভিসা সংক্রান্ত নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনায় ছিলেন আরজে আরিয়ান

সম্প্রতি আপনি প্রথম সন্তানের বাবা হয়েছেন। অনুভূতি জানতে চাই।

এই অনুভূতি অবর্ণনীয়। যারা বাবা হয়েছেন তারাই কেবল এই অনুভূতি জানেন। এ এক অন্যরকম ভালোবাসা, ভালোলাগা। গত মাসের (মার্চ) ১৬ তারিখে ওর জন্ম। নূহা (বাচ্চা) এবং ওর মা- দুজনেই সুস্থ আছেন।

মূল আলোচনায় যেতে চাই। বি-১, বি-২ ভিসার এক্সটেনশন-এর প্রসেস যদি বলতেন... 

বি-১, বি-২ ভিসার এক্সটেনশন মূলত যারা ভিজিট ভিসায় আমেরিকাতে আসেন বা বিজনেস কিংবা চিকিৎসা বা অন্য কোনো কাজে আসেন, তাদের জন্য। এই ভিসা এক্সটেন্ড করার জন্য ‘আই-৫৩৯’ ফর্মটি পূরণ করতে হবে এবং সাপোর্টিং ডকুমেন্টস সাবমিট করতে হবে। যারা ডিপেন্ডেন্ট তাদের জন্য ‘আই-৫৩৯’ ফর্মটি পূরণ করতে হবে। বি-১, বি-২ ভিসায় অনেকবারই এক্সটেন্ড করা যায়। তবে আমরা বলি, দুইবারের বেশি এক্সটেনশন না করাই উচিত। সাপোর্টিং ডকুমেন্টস অবশ্যই সাবমিট করতে হবে। জানাতে হবে, কেন আপনি আমেরিকাতে থাকতে চাচ্ছেন কিংবা কোন কারণে এখন যেতে পারছেন না। অবশ্যই আমেরিকাতে সার্ভাইভ করার মতো অর্থ বা আত্মীয় স্বজনের বিস্তারিত তুলে ধরতে হবে। এছাড়া ছয় মাস পর আপনি আবার বাংলাদেশে যাবেন এমন গ্যারান্টি পেপার এবং সাপোর্টিং ডকুমেন্টও সাবমিট করতে হবে।

জে-১ হোম কান্ট্রি রেসিডেন্স ওয়েভার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই।

এই ভিসা হলো যারা আমেরিকাতে পিএইচডি করতে এসেছেন। পিএইচডি শেষে বাংলাদেশে ফিরে না গিয়ে যদি এখানেই থাকতে চায় সেক্ষেত্রে এই ভিসার জন্য এপ্লাই করতে পারেন। ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশি এম্বাসিতে অথবা বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে আমেরিকাতে থাকার অনাপত্তিপত্র নিতে হবে। এর সাথে সাপোর্টিং ডকুমেন্ট সাবমিট করতে হবে, পিএইচডি হোল্ডার ব্যাক্তিটি আমেরিকার অর্থনীতিতে কী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। এই ভিসার প্রসেসিংই হলো জে-১ হোম কান্ট্রি রেসিডেন্স ওয়েভার।

ইবি-১ ভিসা দেয়ার ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয় বিবেচনায় নেয়া হয়? কিংবা ফাইল প্রসেসিংয়ে কী কী ডকুমেন্ট সংযোজন করতে হয়?

এই ভিসা ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন দেশের সেলিব্রেটি, ক্রিকেটার, মিডিয়া ব্যাক্তিত্বসহ যারা এক্সটা অর্ডিনারি, তাদের জন্য প্রযোজ্য। ন্যাশনাল বা ইন্টারন্যাশনাল পুরস্কার প্রাপ্ত যে কেউ, খেলাধুলা, শিল্প, সাহিত্য, মিডিয়া, সংস্কৃতি ইত্যাদির সাথে জড়িতরা আবেদন করতে পারবে। আমেরিকাতে আসলে তা আমেরিকার অর্থনীতি বা ওই নির্দিষ্ট সেক্টরকে কতটা উন্নত করতে পারবে সেটার বিস্তারিতসহ সাপোর্টিং ডকুমেন্ট সাবমিট করতে হবে। ইবি-১ ভিসার জন্য প্রায় দশটি ক্রাইটেরিয়া দেয়া আছে। এই দশটির মধ্যে যদি কেউ ৪/৫টা বৈশিষ্ট্য পূরণ করতে পারে তাকে আমরা এপ্লাই করতে বলি।

দর্শক: আমার খালামনি নিউইয়র্কের সিটিজেন। ২০১১ সালে আম্মুকে নেয়ার জন্য এপ্লাই করেন তিনি, যেটা গ্রহণ করা হয় ২০১৩ সালে। বর্তমানে কোন সালের প্রসেসিং শুরু হয়েছে? 

বর্তমানে ২০০৭ সালের এপ্লিকেশনগুলো নিয়ে প্রসেসিং চলছে আই-১৩০ এর ক্ষেত্রে। সেক্ষেত্রে আপনার আন্টির করা এপ্লিকেশনের প্রসেসিং শুরু হতে আরো প্রায় ৪ বছর। আর প্রসেসিং কমপ্লিট করার সময় যদি আপনার মায়ের ২১ বছরের কম বয়সী সন্তান থাকে তারাও আসতে পারবে।

আপনার লেখা কোনো বই আছে কি?

অলরেডি আমার লেখা ৩টি বই আছে। আমি অবশ্য জানিনা এখন আর বাংলাদেশে বইগুলো পাওয়া যায় কিনা। তবে এখন একটা বই লিখছি-বাংলাদেশের গ্রামীণ খেলা নিয়ে। যদিও এটা ইংরেজিতে লিখছি।

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ