Channel 786 | চ্যানেল ৭৮৬ | Community Bangla Newspaper

মোহাম্মদ এন মজুমদার

বঞ্চিত ও কাগজপত্রহীনদের সাহায্য ঘোষণা কারা পাচ্ছেন এই বেনিফিটসমূহ

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭:২৯, ৩০ জুলাই ২০২১

আপডেট: ১৭:৩০, ৩০ জুলাই ২০২১

বঞ্চিত ও কাগজপত্রহীনদের সাহায্য ঘোষণা কারা পাচ্ছেন এই বেনিফিটসমূহ

হাজার হাজার অবৈধ, তথা কাগজপত্রহীনদের জন্য নিউইয়র্ক স্টেট দিচ্ছে পুরো এক বছরের ভাতা, প্রতি সপ্তাহে তিনশ’ ডলার করে মোট ১৫ হাজার ৬০০ ডলার। গত ২০২০ সালের মার্চ থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত সময়কালে যারা কাজ হারিয়েছিলেন, ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন, সর্বোপরি এ সময়ে নিউইয়র্কের বাসিন্দা ছিলেন, তারা সবাই কিছু শর্তসাপেক্ষে, তথা কাগজপত্র দাখিল করতে সক্ষম হলে, এককালীন সুবিধা হিসাবে এ বেনিফিটসমূহ পাবেন।

একজন আবেদনকরীকে প্রমাণ করতে হবে যে, তিনি ২০২০ সাল থেকে এবং ২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত নিউইয়র্কে বসবাসরত ছিলেন, কোন কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন, জব লেটার, পে-স্টাফ বা ডাইরেক্ট ডিপোজিটের প্রদানের প্রমাণস্বরূপ ব্যাংক স্টেটমেন্ট রয়েছে। যথাযথ আইডি এবং নিজ পেপারের মাধ্যমে প্রমাণ করতে পারবেন যে, আপনি কে এবং কোথায় বসবাস করেছিলেন, তাহলে আপনি ১৫ হাজার ৬০০ ডলার এককালীন বেনিফিট পেতে পারেন। এ যাবৎ ২.১ বিলিয়ান ডলার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। অসহায় নিরীহ ও হতভাগা জনগোষ্ঠীর জন্য এটি একটি ভালো সংবাদ বলে আখ্যা দিয়েছেন ডেমোক্র্যাট সংসদ সদস্যদের একটি অংশ।

নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব নেভার-এর ওয়েবসাইটে দেয়া লিংকে সরাসরি আবেদন করতে হবে এবং ডকুমেন্টসমূহ আপলোড করতে হবে। ২০২০ সালের ২৭ মার্চের আগে নিউইয়র্ক স্টেটে বসবাসের প্রমাণস্বরূপ ড্রাইভার লাইসেন্স, সিটি আইডি, ল্যান্ডলর্ড কর্তৃক ইস্যুকৃত লিজের কপি। ২০১৮, ১৯ ও ২০-এর ট্যাক্সের কপি, নিয়োগকর্তা কিংবা মালিকের কাছ থেকে কাজ করেছেনÑ এ মর্মে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও দেয়া যেতে পারে। তবে যারা কোন ট্যাক্স ফাইল করেন না এবং অন্যান্য কাগজপত্র জমা দিতে পারবেন, তারা ৩,২০০ ডলার পেতে পারেন (যা হচ্ছে তিনটি স্টিমুলাস পেমেন্ট, তথা ১৬০০ ডলার, ১২০০ ডলার এবং ৬০০ ডলারের সমতুল্য।)

আগামী ১ আগস্ট থেকে অনলাইনে আবেদনপত্র দাখিল করা যাবে বলে আভাস দিয়েছেন গভর্নর ক্যুমো। তবে স্টেট এটর্নি জেনারেল এবং স্টেট কন্ট্রোলার অফিস বিবেচনা করে দেখবেন বাজেট এবং কোন ধরণের ফ্রডে র সম্ভাবনা রয়েছে কি-না।

আবেদনকারীদের এখন থেকেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসমূহ, যেমনÑ কখন-কোথায়, কত বেতনে কাজ করেছেন, এমপ্লমেন্ট লেটার, পে-স্টাফ, আইডি/ট্যাক্স রিটার্ন, বাসার লিজ পেপার ইত্যাতি সংগ্রহ শুরু করতে হবে। অনলাইনে দাখিল করার জন্য সব কাগজপত্র প্রস্তুত রাখতে হবে।

বিভিন্ন নির্বাচিত প্রতিনিধির অফিস, একাউনটেন্টসহ অনেকেই আছেন, এ প্রক্রিয়ায় সাহায্য করতে পারেন। একটি নির্ভুল আবেদন পজেটিভ ফল বয়ে আনতে পারে।

পরিচিতি : এই প্রবন্ধটির লেখক মোহাম্মদ এন মজুমদার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি এবং নিউইয়র্কস্থ টরো ল সেন্টার থেকে আইনে এলএলএম ডিগ্রিধারী, তিনি নিউইয়র্কস্থ একটি ল ফার্মে ১৯৯৯ সাল থেকে কর্মরত আছেন। এ ছাড়াও তিনি নিউইয়র্কের বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তিনি ব্রঙ্কস প্লানিং বোর্ড-৯ এর সদস্য ফাস্ট ভাইস চেয়ারম্যান এবং ল্যান্ড এন্ড জোনিং কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে ২০১০ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। উপরোক্ত লিখাটি লেখকের সুদীর্ঘকালের ল ফার্মে কর্ম অভিজ্ঞতা যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের ল স্কুলের শিক্ষা থেকেই লিখা। এটিকে লিগ্যাল এডভাইজ হিসেবে গ্রহণ না করে আপনাদের নিজ নিজ আইনজীবীর সহযোগিতা নিন।


চ্যানেল ৭৮৬ এর নিউজ রুম এ যোগাযোগ করতে ই মেইল করুন এই ঠিকানায় [email protected] । আপনার পন্য বা সেবার প্রচারে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কল করুন +1 (718) 355-9232 এই নাম্বারে।

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ