![করোনা ভীতির মধ্যেও যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশের পথে শত শত বাংলাদেশী করোনা ভীতির মধ্যেও যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশের পথে শত শত বাংলাদেশী](https://www.channel786.com/media/imgAll/2021May/fhjt-2107052350.png)
দীর্ঘ এক বছরেও বেশী করোনার কঠোর বিধি নিষেধের মধ্যে থাকার পর সম্প্রতি নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্টেটে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়াতে স্বজনদের সাথে সময় কাটানোর অভিপ্রায়ে এবং বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়ী কাজে জন্মভূমি বাংলাদেশে যাচ্ছেন শত শত অভিবাসী আমেরিকান-বাংলাদেশী। এদিকে চলতি সপ্তাহ থেকে রাজধানী ঢাকা সহ পুরো বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার কঠোর লকডাউনের স্ধিান্ত নেয়ায় দেশগামী বাংলাদেশীদের মধ্যে দোটা শুরু হয়েছে। তাদের অনেকেই শেষ মুহূর্তে এয়ালাইন্সকে অনুরোধ করে টিকেট বাতিল কিংবা ভ্রমণ স্থগিত রাখলেও কেউ কেউ জীবনের ঝুঁকি নিয়েই সপরিবারে রওয়ানা দিয়েছেন নিউইয়র্ক সহ বিভিন্ন শহর থেকে দেশের উদ্দেশ্যে।
ঢাকাগামী একাধিক বাংলাদেশীর সাথে আলাপকালে তারা জানালেন, বাংলাদেশেও লকডাউনের কথা জেনেছি। তারপরও যাচ্ছি। আনন্দ ছাড়াও সামনের কুরবানির ঈদ করতে। আমেরিকায় পূর্ণ ডোজের টিকা নেয়ায় কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে। সেটিও স্বদেশে অবকাশযাপনে উৎসাহিত করছে। কেউ কেউ বললেন, বাংলাদেশ লকডাউনে থাকলেও আমেরিকার মতো নিশ্চয়ই হবে না। বড় কথা হচ্ছে, আত্মীয়-স্বজনের অধিকাংশই বাড়িতে থাকবেন।
ঢাকাগামী এসব যাত্রীর অধিকাংশই যাবেন রাজধানীর বাইরে জেলা এবং উপজেলা শহরে। লকডাউনের তাণ্ডবে কীভাবে তারা এয়ারপোর্ট থেকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেবেন জানতে চাইলে কয়েকজন বললেন, স্বজনেরা সে ব্যবস্থা করে রেখেছেন। কঠোর লকডাউনের আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী নিশ্চয়ই পথে থামাবে না। সে সুযোগেও গন্তব্যে পৌঁছে যাবেন বলে প্রত্যাশা তাদের।
নিউইয়র্ক, ভার্জিনিয়া, মিশিগান, লসএঞ্জেলেসসহ বিভিন্ন শহরের বাংলাদেশী ট্র্যাভেল ব্যবসায়ীরা জানান, করোনার পরিপ্রেক্ষিতে সিংহভাগ প্রবাসী বাংলাদেশে যাবার পরিকল্পনা স্থগিত করেছেন। এর ফলে তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।