তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে উইঘুর মুসলিমদের নিয়ে কথা বলেছেন। মঙ্গলবার দুই নেতার মধ্যে এই ফোনালাপ হয় বলে জানিয়েছে তুর্কি প্রেসিডেন্ট কার্যালয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চীনা নাগরিকদের সমভাবে উইঘুর মুসলিমদের শান্তিতে বসবাস তুরস্কের জন্য যে গুরুত্বপূর্ণ বলে শি জিনপিংকে বলেছেন এরদোয়ান। তবে তিনি এটিও বলেছেন যে, তুরস্ক চীনের জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় আরও জানায়, ফোনালাপে দুই নেতা দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উইঘুর তুর্কদের চীনের নাগরিকদের মতোই সমৃদ্ধি ও শান্তিপূর্ণ জীবন তুরস্কের জন্য যে গুরুত্বের তা তুলে ধরেছেন এরদোয়ান। তিনি চীনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধার কথাও জানিয়েছেন।
এরদোয়ান চীনা প্রেসিডেন্টকে আরও বলেছেন, তুরস্ক ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যিক ও কূটনীতিক ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে এবং দুই নেতা জ্বালানি, বাণিজ্য, পরিবহন ও স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলেছেন।
গত বছর চীনের সঙ্গে প্রত্যর্পণ চুক্তিতে সম্মত হওয়ার পর তুরস্কে বসবাসরত প্রায় ৪০ হাজার উইঘুর এরদোয়ান প্রশাসনের সমালোচনা করেছেন। মার্চ মাসে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, অন্য দেশগুলোর সঙ্গে যেমন প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে এটিও তেমন একটি। চীনে উইঘুরদের ফেরত পাঠানোর বিষয় অস্বীকার করেন তিনি।
মার্চে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ির আঙ্কারা সফরের সময় কয়েক হাজার উইঘুর বিক্ষোভ করেছেন। তুরস্কের কয়েকজন রাজনীতিকও মনে করেন, তুর্কি সরকার চীনের সঙ্গে সম্পর্কের খাতিরে উইঘুর অধিকারের কথা বিবেচনা করছে না। যদিও এরদোয়ান প্রশাসন এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এপ্রিলে চীনা রাষ্ট্রদূতকে তলব করে তুরস্ক। উইঘুরদের প্রতি চীনের আচরণ নিয়ে তুরস্কের একজন বিরোধী দলীয় নেতার মন্তব্যের পর দূতাবাস বলেছিল এই সমালোচনার জবাব দেওয়ার অধিকার তাদের রয়েছে। চীনা দূতাবাসের এমন অবস্থানের পর রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়।
চ্যানেল ৭৮৬ এর নিউজ রুম এ যোগাযোগ করতে ই মেইল করুন এই ঠিকানায় [email protected] । আপনার পন্য বা সেবার প্রচারে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কল করুন +1 (718) 355-9232 এই নাম্বারে।