
ধমীয় বিদ্বেষের শিকার পরিবারের সদস্যরা
কানাডায় ইসলামবিরোধী মনোভাব ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দেয়ার প্রত্যয় জানিয়েছেন দেশটির রাজনৈতিক আর ধর্মীয় নেতারা। হুঁশিয়ারি এসেছে খোদ প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর কণ্ঠেও।
কানাডার বিরোধী দলীয় প্রধান ইরিন ও’টুল জানিয়েছেন, রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকতে পারে। তবে সেটি এক পাশে রেখে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে সব রাজনীতিককে। হিংসাত্মক মনোভাব নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে কানাডা নরকে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
কানাডার এমপি জগমিৎ সির কণ্ঠে একই প্রত্যয়। রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় একযোগে কাজ করার কথা জানিয়েছেন তিনি। তারমতে, এটা কেবল মুসলিমদের ইস্যু নয় বরং গোটা কানাডার নিরাপত্তার জন্য হুমকি। মুসলিম ভাইবোনদের টুপি-হিজাব সাথে নিজের ব্যবহৃত পাগড়ির জন্যেই আমরা গর্বিত বলে জানান তিনি।
সুষ্ঠু-সুন্দর সমাজ গঠনের তাগিদ দেন ধর্মীয় নেতারাও। এরজন্য- সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যন্ত সবার সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করেন লন্ডন মুসলিম মসজিদের ইমাম আবদে আল ফাতাহ্ তাওক্কাল।
গেল রোববার ৬ জুন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এক মুসলিম পরিবারের ওপর পিক-আপ তুলে দেয় হামলাকারী। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত আফজাল পরিবারের ৪ সদস্য। আটক করা হয় নাথানেল ভেল্টম্যান নামের ২০ বছরের ঐ হামলাকারী।