
ডাওনি মন্টগোমেরি এনওয়াইপিডিতে ৩০ বছর পার করে ডেপুটি ইন্সপেক্টর হয়েছিলেন। কিন্তু তার হাতেই পড়লো হাতকড়া। অভিযোগ নির্বাচনী তহবিলে জালিয়াতি। ২০২০-২১ সালে মেয়র এরিক অ্যাডামসের নির্বাচনের তহবিল সংগ্রহ নিয়েই এই জালিয়াতির প্রমাণ মিলেছে।
কেবল তিনিই নন, এতে অভিযুক্ত হয়েছেন আরও ৫জন ও একটি প্রতিষ্ঠান। সেবার বড় অংকের তহবিল গঠনের জন্য মন্টগোমেরি ও অন্যরা মেয়র ছাড়াও অন্য মানুষের নামেও তহবিল তুলতে থাকেন। একক প্রার্থীর জন্য তহবিল গঠনে একটা নির্দিষ্ট অংক বেঁধে দেওয়ার কারণেই এই মিথ্যাচার করেন তারা। আর তাতে লক্ষ লক্ষ ডলার অতিরিক্ত সংগৃহীত হয়ে যায়।
নগরের পাবলিক ক্যাম্পেইন ফিন্যান্স প্রোগ্রামের আওতায় এই অর্থ সংগ্রহ করা হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ম্যানহাটনের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগ বলেছেন, অভিযুক্তরা মেয়র অফিসের ভবিষ্যতে প্রয়োজন হতে পারে, এই অজুহাতে বাড়তি অর্থ সংগ্রহ করেছেন।
৩২ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে মেয়র এরিক অ্যাডামসের কোনো ভূমিকার কথা জানা যায়নি।
এক বিবৃতিতে মেয়র অ্যাডামসের মুখপাত্র বলেছেন, এই মামলায় কিংবা তদন্তে মেয়রের ক্যাম্পেইন কিংবা তার নিজের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। মেয়রের ক্যাম্পেইন সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে কাজ করে আসছে, আর এমন ধরনের জালিয়াতি আমরা কখনোই বরদাশত করবো না।
মন্টগোমেরি অবশ্য নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। অভিযুক্তদের মধ্যে আরও তিনজন নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। এরা হচ্ছেন শামসুদ্দিন রিজা, মন্টগোমেরির একজন আত্মীয় যিনি এই তহবিল গঠনে সরাসরি যুক্ত ছিলেন এবং শহিদ মুশতাক।