জাতিসংঘ সদর দপ্তরের ইকোসক চেম্বারে গত ৬ জুলাই অনুষ্ঠিত হয় ১৭তম আন্তর্জাতিক হিউম্যান রাইটস ইয়ুথ সামিট। এই অনুষ্ঠানে ফাতিহা আয়াতকে হিউম্যান রাইটস হিরো অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ প্রদান করা হয়।
ইয়ুথ ফর হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল এর প্রেসিডেন্ট ড. মেরি সাটেলওর্থ-এর হাত থেকে পুরষ্কার গ্রহণ করেন ফাতিহা আয়াত।
এ সময় ফাতিহা তার বক্তব্যে জানান, সে তার এই পুরষ্কার উৎসর্গ করেছে বাংলাদেশের সেই সব মানুষদের যাদের মৌলিক মানবাধিকার স্পষ্টভাবে লঙ্ঘিত। দ্ব্যর্থহীন ভাষায় তুলে ধরেছে কাশ্মীর, প্যালেস্টাইন, উইঘুর, সিরিয়ার মতো দেশগুলোতে মুসলিম নির্যাতনের কথা।
পুরষ্কার নেয়ার কিছুক্ষণ পর ফাতিহা আয়াত অনুষ্ঠানে ইয়ুথ মেকিং হিউম্যান রাইটস অ্যা রিয়ালিটি শীর্ষক প্যানেলে একজন বাংলাদেশি ডেলিগেট হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সেই বক্তব্যে তিনি তুলে ধরেন বন্যা, ঘুর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও নদী ভাঙ্গন কীভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের নারীদের ফোর্সড লেবার, আর্লি ম্যারেজ, ইলিগ্যাল ট্রাফিকিং ও জেন্ডার বেইসড ভায়োলেন্সের মত নানাবিধ হিউম্যান রাইটস ভায়োলেশনের ঝুঁকিতে ফেলছে।
এ বছর ১১৩টি দেশ থেকে অর্ধশতাধিক ডিপ্লোম্যাট ও তিন শতাধিক ডেলিগেট এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ফাতিহার আগে বক্তব্য রাখেন ১৯৯৬ সালে শান্তিতে নোবেল জয়ী বর্তমানে পুর্ব তিমুরের রাষ্ট্রপতি হোসে রামোস হোর্তা।
বিগত বছরগুলোতে এই পুরষ্কার পেয়েছেন ইরাকের সুফিয়ান হোসাইন, গাম্বিয়ার ফামারা জোনেহ, ইতালির এলেনা মার্টিন, যুক্তরাষ্ট্রের জেনা এলম্যান, ইরানের নাজনীন আফসিন, ভারতের শিনা চৌহান, পাপুয়া নিউ গিনির অগাস্টিন ব্রিয়ান এবং তাইওয়ানের চেইন হাং।