যুক্তরাষ্ট্রে ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট আওয়ামীলীগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৪ আগস্ট শনিবার সন্ধ্যায় লস এঞ্জেলেসের বাংলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুন্সী, প্রধান আলোচক ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ভাগনা আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত), বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মুসতাইন দারা বিল্লাহ।
জাতীয় সংগীত এবং বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ পাঠের মাধ্যমে সূচিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট আওয়ামীলীগের সভাপতি শফিকুর রহমান, পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ডা. রবি আলম।
অনুষ্ঠানের সূচনা করেন ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট আওয়ামীলীগের জয়েন্ট সেক্রেটারি দিদার আহমেদ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আজিজ মোহাম্মদ হাই, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা মাহমুদ, ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট আওয়ামী লীগের অর্গানাইজিং সেক্রেটারি টি, জাহান কাজল, লস এঞ্জেলেস সিটি আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন টিপু, ক্যালিফোর্ণিয়া স্টেট আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ফিরোজ আলম, ভাইস প্রেসিডেন্ট নাজমুল চৌধুরী ও প্রাক্তন সভাপতি সুহেল রহমান বাদল।
উপস্থিত ছিলেন বাফলার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ ক্যালিফোর্নিয়ার সভাপতি নজরুল আলম, এলএ বাংলাটাইমসের সিইও আব্দুস সামাদ, প্রবাস বাংলা সম্পাদক কাজী মশাহুরুল হুদা, সময় টিভির সাংবাদিক লস্কর আল মামুন, হলিউড বাংলার সাংবাদিক খাইরুজ্জামান মামুন। কমিউনিটির পক্ষ থেকে আরো অংশগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা, আনন্দমেলা, হিন্দু সোসাইটি-সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করে ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট যুবলীগ, লস অ্যাঞ্জেলেস সিটি আওয়ামী লীগ, ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট মহিলা আওয়ামী লীগ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তিই বঙ্গবন্ধুকে ১৫ই আগস্ট সপরিবারে হত্যা করে। তারা চেয়েছিল বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে। কিন্তু আজকের বাংলাদেশ দেখলে বুঝা যায় তারাই ব্যর্থ হয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়ে বাংলাদেশ এখন সমৃদ্ধ একটি রাষ্ট্র। যা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল। এখন আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশকে আরও সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাওয়া। এজন্য আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধ থাকা একান্ত প্রয়োজন।
আমরা দেখেছি, বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করল তাদের বিচার যাতে না করা যায় এজন্য আইন করা হলো। তাদেরকে পুরস্কৃত করা হলো। কত নির্মম। আজ সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর ভাগনা আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত) সেদিনের স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, এই হত্যাকান্ডে আমার এক ভাই, এক বোন এবং বাবাকে হারাই। আমার বাবা আমার সামনেই গুলিবিদ্ধ হন এবং মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। সেই দু:সহ স্মৃতি চারণ করা খুবই কষ্টকর। আমরা চাই না এগুলো আলাপ করতে।