Channel 786 | চ্যানেল ৭৮৬ | Community Bangla Newspaper

কফি, ইসলাম এবং সুস্বাস্থ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:০৪, ২৮ জুলাই ২০২১

কফি, ইসলাম এবং সুস্বাস্থ্য

পবিত্র কোরআনে বর্ণিত নির্দেশনাসমুহের মধ্যে মানুষের জন্য অতি প্রযোজ্য প্রিয়তম একটি নির্দেশ হলো: 'হে বনী-আদম! তোমরা খাও ও পান কর' (সূরা আল আ’রাফ ৩১)। এই নির্দেশের মাধ্যমে খাদ্য গ্রহণ করাকে ফরজ করা হয়েছে। কোন ব্যক্তি যদি খাদ্য মজুদ থাকার এবং গ্রহণ করার সামর্থ্য থাকার পর ইচ্ছাকৃতভাবে খাদ্য গ্রহণ না করে মারা যায়, তাহলে তা হবে আত্মহত্যা। আবার এই খাওয়া এবং পান করা যেন লাগামহীন না হয় সেজন্য আয়াতের শেষাংশে বলা হয়েছে: 'অপচয়/অপব্যয় করো না। তিনি অপচয়কারি/অপব্যয়ীদেরকে পছন্দ করেন না' (সূরা আল আ’রাফ ৩১)।

ইসলাম সকল হালাল খাবারই ভারসাম্যপূর্ণ ও পরিমিতি পরিমাণে গ্রহণের পক্ষে। মাত্রাতিরিক্ত বা প্রয়োজনের কম গ্রহণকে ইসলাম পছন্দ করে না। কোন কিছুকে নেশা বা আসক্তি কিংবা অবজ্ঞা বা অবহেলা করার পক্ষপাতী নয় ইসলাম। এ কথা সকল বৈধ বিষয়েই প্রযোজ্য। এমনকি,  আরবের অতি পরিচিত, অতি ব্যবহৃত কাহওয়া, মুসলিম বিশ্বের যে পাণীয় আজ বিশ্বব্যাপী কফি নামে সুপ্রসিদ্ধ, তার সুফল পাওয়ার ক্ষেত্রেও ভারসাম্য আর পরিমিতি মান্য করা জরুরি।

 

কাহওয়া থেকে কফি কীভাবে আরবের পানীয় থেকে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় পপুলার সফট ড্রিংক কফি হয়ে গেলো, তা এক রোমাঞ্চকর অভিযাত্রার কাহিনীর মতো।

কফি নিয়ে নানা কিংবদন্তী শ্রুতি থাকলেও এর আবিষ্কার যে ‘আরব অঞ্চলে’ তা নিয়ে নেই কোনো মতভেদ


কফি আবিষ্কার: ইবাদতের সঙ্গে সম্পর্ক

কফি নিয়ে নানা কিংবদন্তী শ্রুতি থাকলেও এর আবিষ্কার যে ‘আরব অঞ্চলে’ তা নিয়ে নেই কোনো মতভেদ। মুসলিম অধ্যুষিত আরব অঞ্চলে শুরুতে কফি পান করা হত রাত জেগে ইবাদতের জন্য। একটা সময় আরবের বাইরের লোকজন কফিকে বলত ‘আরবের ওয়াইন’।

হজকে কেন্দ্র করে পবিত্র নগরী মক্কায় প্রতিবছর লাখো মুসলিমের সমাবেশ হতো, তখন ইথিওপিয়ার বণিকরা কফির বীজ নিয়ে আসতেন, যা হজে আগত বিভিন্ন দেশের মুসলমানরা বেশ আগ্রহসহকারে পান করত। কারণ একটাই; কফি পানে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা রাত জেগে ইবাদত করতে পারতেন।

আরব অঞ্চল বিশ্বকে এমন অনেক চিন্তাবিদ ও আবিষ্কারক দিয়েছে; যারা পৃথিবীকে করেছে সমৃদ্ধ। বিশেষ করে খাদ্য, পানীয় এবং কফি -এই তিন জগতে যাদের রয়েছে বিস্ময়কর অবদান। বিশ্বে এখনও ‘অ্যারাবিক’ কফি সেরা কফির বীজ হিসেবে পরিচিত। মুসলিমদের আবিষ্কৃত পানীয় জগতের বিস্ময় কফি আরবরা ছড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে। কিন্তু, কফি আবিষ্কারের বহু পুরনো মুসলিম কিংবদন্তী রয়েছে।

তবে আমরা যদি কফির কথা চিন্তা করি- তাহলে প্রথমে আসে ইতালির এস্প্রেসো, ফরাসি ক্যাফে আউ লেইট এবং দারুচিনিযুক্ত আমেরিকান ডাবল গ্র্যান্ড ল্যাতের কথা। এখন তো স্টারবাকস, ক্যাফে নিরো এবং কোস্টার মতো কফিশপ চেইনগুলোর সর্বব্যাপী রাজত্ব চলছে। অন্যদিকে নেসকাফে তো বিশ্বায়নের প্রতীক হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে।

ইয়েমেনের আল মোচা বন্দর


ল্যাতিন আমেরিকা, সাব-সাহারান আফ্রিকা, ভিয়েতনাম এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো উষ্ণ এলাকায় কফি বেশি উৎপাদিত হয়। এছাড়া ইউরোপে ষোড়শ ও সপ্তদশ শতাব্দীতে কফি জনপ্রিয় হয়।

পুরোনো কিংবদন্তী অনুযায়ী, কফি লোহিত সাগরের দক্ষিণ প্রান্ত- ইথিওপিয়া এবং ইয়েমেনের উঁচু অঞ্চলে আবিষ্কৃত। ইথিওপিয়ায় নবম শতকে খালদি নামের একজন ছাগল পালক প্রথম তার ছাগলদের বেরি জাতীয় গাছ থেকে ফল খেতে দেখে। পরবর্তীতে সে লক্ষ্য করে যে তার ছাগলগুলো সারারাত না ঘুমিয়ে পার করে দেয়।

এরপর খালদি ফলগুলো নিয়ে মসজিদের ইমামের কাছে যান এবং তার পর্যবেক্ষণ জানান। তারপর সেই ইমাম এবং তার ছাত্ররা মিলে এই ফল থেকে তৈরি করেন পানীয়; তবে তাদের উদ্দেশ্য ছিল সারারাত জেগে প্রার্থনা করা।

তবে অন্য একটি মত অনুসারে, কফি প্রথমে চাষ হয় ইয়েমেনে। ইয়েমেনিরা এটিকে আরবি নাম দিয়েছে ‘কাহওয়া', যেখান থেকে কফি এবং ক্যাফে শব্দ দুটি এসেছে। ঘোতুল আব্দুল নুরুদ্দীন আবুল আল-হাসান আল-সাদিলি নামে একজন সুফি ছিলেন। তিনি একবার ইথিওপিয়া সফর করতে গেলে একটি পাখিকে লাল রঙের একটি ফল খেতে দেখে কৌতূহলবশত নিজেও তা খেয়ে দেখেন। তিনি সেই ফলটি মুখে পুড়ে এর অপূর্ব স্বাদে বিমুগ্ধ হয়ে পড়েন। এরপর থেকে ইয়েমেনের সুফি সাধক ও ধর্মীপ্রাণ মুসলিমরা রাত জেগে খোদার নাম একাগ্র চিত্তে স্মরণ করা ও ইবাদত করার জন্য কফি পান করতেন।

মুসলিম অধ্যুষিত আরব অঞ্চলে শুরুতে কফি পান করা হত রাত জেগে ইবাদতের জন্য


কফির বিশ্বায়ন

কফি মূলত একটি ফল। আমরা যে কফি পান করি, তা কফির বীজ বা বিন, যা গুঁড়ো করেই তবে তৈরি হয় কফি। ১৫৯৮ খ্রিস্টাব্দে ডাচ Koffie শব্দের মাধ্যমে Coffee শব্দটি ইংরেজি ভাষায় গৃহীত হয়। এই ডাচ শব্দটি আবার তুর্কি শব্দ Kahve থেকে উদ্ভূত; তুর্কি শব্দটি আরবির্ Al-Qahwa শব্দেরই পরিবর্তিত রূপ। 'আল–কাহওয়া', কাহওয়া শব্দের অর্থ পানীয়—ক্ষুদাহরণকারী পানীয়। এই শব্দান্তরের ভেতরেই লুকিয়ে আছে কফির বিস্ময়কর ইতিহাস, শ্রুতি ও কিংবদন্তী এবং বিশ্বময় ছড়িয়ে যাওয়ার আখ্যান।

মধ্যযুগের পপুলার বেভারেজ বলতে আল ক্বাওয়া বা আল গাওয়া ছাড়া আর কিছুই ছিল না।

মিশর ও উত্তর আফ্রিকা দিয়ে আল ক্বাওয়া বা আল গাওয়া ইউরোপে প্রবেশ করে। যোদ্ধা ও বণিকরা রাস্তাটি খুলে দেয় ইউরোপীয়দের কাছে।

১৬৪৫ সালে ইউরোপের প্রথম কফিশপ চালু হয় ভিয়েনা শহরে। পাসকোয় রোসি নামে একজন তুর্কি ১৬৫০ সর্বপ্রথম কফি নিয়ে যায় বিলাতে। তিনি জর্জইয়ার্ড, ল্যাম্ববার্ড স্ট্রিট, লন্ডন ঠিকানায় একটি কফিশপ শুরু করেন।

আট বছর পর জনপ্রিয়তা বাড়ায় লয়েডে আরেকটি কফিশপ চালু হয়। ১৭০০ সালে ‘এডওয়ার্ড লয়েড কফি হাউস’ নামের একটি চেইনশপ চালু হয়। এখনো যাদের অসংখ্য শাখা রয়েছে।

ইতিহাসের ভাষ্য মতে, ইয়েমেন কফির উর্বর ভূমি, সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়ে কফির জনপ্রিয়তা। ১৪১৪ সালে মক্কায় পরিচিতি লাভ করে। পনরো দশকের গোড়ার দিকে ইয়েমেনি বন্দর ছেড়ে ‘মোচা’ মিশরে ছড়িয়ে পড়ে। মিশরেও ধর্মাম্বালীদের কাছে কফি জনপ্রিয় হতে শুরু করে। কায়রো শহরের ধর্মীয় বিশ্ববিদ্যালয় আজহারের পাশে ‘কফি হাউস’ গড়ে ওঠে। যার শাখা সিরিয়ায়ও খোলা হয়। বিশেষত মহাদেশীয় শহর আলেপ্পো এবং তারপরে ১৫৫৪ সালে কফি চলে আসে ‍অটোমান সাম্রাজ্যের তুর্কির রাজধানী ইস্তাম্বুলে।

কফি আবিষ্কারের পেছনে মুসলমানদের অবদান থাকলেও একটা সময় মক্কা, কায়রো এবং ইস্তাম্বুলে ধর্মীও গোষ্ঠী কফিপান নিষিদ্ধ করেছিল। অন্যদিকে বিশেষ করে ঈর্ষাকাতর হয়ে ইউরোপেও নিষিদ্ধ ছিল কফি। কফি মুসলমানদের আবিষ্কার হওয়ার কারণে এবং রেড ওয়াইনের জায়গা গ্রহণ করে ফেলায় কট্টর ক্যাথলিকেরা একে শয়তানের তিক্ত আবিষ্কার বলে মন্তব্য করেন। ধীরে ধীরে এক সময় ধর্মীয় ব্যক্তিত্বরাও বুঝতে পারেন কফি একটি নির্দোষ পানীয়। আনুমানিক ১৬ শতকের দিকে পোপ ক্লেমেন্ট অষ্টম বলেন, কফিকে শয়তানের পেয়ালা সাব্যস্থ করার আগে একবার এর স্বাদ নেয়া যাক। এই বলে তিনি কফির পেয়ালায় চুমুক দিয়ে অপূর্ব স্বাদের স্বাক্ষী হয়ে উঠেন। সেই থেকে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সবখানেই কফি জায়গা করে নেয় সগৌরবে।

কফি দুটি রুটে ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে- অটোমান সাম্রাজ্যের ভূ-মধ্যসাগর এবং সমুদ্রপথে মোচার আসল কফি বন্দর থেকে। ১৭ শতকের শুরুতে বৃটিশ ও ওলন্দাজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রথমবারের মতো বড় আকারে মোচা বন্দর দিয়ে কফি ক্রয় শুরু করে। সেখান থেকে ভারত এবং এর বাইরে দেশেও কফি রফতানি শুরু হয়।

ভূমধ্যসাগর দিয়ে ব্যবসা শুরু করা কফি; অভিজাত পানীয় হিসেবে খ্যাতি লাভ করে। একটা সময় মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে কফি হাউসে যাওয়া এক আভিজাত্যের বিষয়ে পরিণত হয়। নিপাট ভদ্রলোকরা কফি হাউসে যাওয়া শুরু করেন। এতে কফি হাউস পরিণত হলো জ্ঞাণ চর্চার আড্ডাখানা হিসেবে। সেখানে মানুষ কবিতা পড়ে, গান গায়, বই পড়ে, গেমস খেলে, একে অন্যের সঙ্গে মতামত বিনিময় করে; এসব কার্যকলাপে মানুষের মন ও শরীর–স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে।

বাংলাদেশে কফি

ইতিহাস ভাষ্যে, ঢাকায় কফি মোঘল আমলে, সুবেদার শায়েস্তা খানের হাত ধরে। এরপর বাঙালির ঘরে কফি আসে উনিশ শতকের শেষ ভাগে। অভিজাত ও বনেদী পরিবারে কফি পানের অভ্যাস ছিল। পাকিস্তান আমলে এবং দেশ স্বাধীনের পরেও কফি পরিবেশন সীমিত ছিল উচ্চবিত্তদের ক্লাব এবং তিন তারকা হোটেলে। ১৯৮২ সালে মৌচাক মার্কেটের পাশে ‘কফি পার্লার’ নামে একটি কফির দোকান চালু হয়। বিগত কয়েক দশকে ঢাকাসহ সারা কফিপ্রেমীদের জন্য কফি শপ ও দোকান এখন বহু। এমনকি যুগের পরিবর্তনে বাংলাদেশেও শুরু হয়েছে কফির চাষ। পার্বত্য চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার ও নীলফামারীতে কফি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা। বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে তাঁদের এ ব্যাপারে যথেষ্ট সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে উঠে এসেছে। আশা করা যায়, একসময় বাংলাদেশ থেকেও বিভিন্ন দেশে কফি রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব হবে।

বাংলাদেশে কফি চাষে উৎসাহ দিতে এগিয়ে আসছে মারমেইড ইকো টুরিজম লিমিটেড। তাদের এই বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘মারমেইড কফি শপ’ তৈরি কাজ শুরু হয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে এই প্রকল্পে কিছুটা ধীরগতি আসলেও ইতিমধ্যে অনলাইনে হোম ডেলিভারি দিতে যাচ্ছে মারমেইড কফি। আগামী ৪ জুলাই থেকে গুলশান-১-২, বনানী, বারিধারা, ডিওএইচএস এবং নিকেতন এলাকায় অর্ডার করলে পাওয়া যাবে মারমেইড কফি।

কফি: ভালো-মন্দ

কফির উপকারিতা হলো এই যে, কফিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। এগুলো আমাদের দেহের কোষগুলোকে ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থ ও রাসায়নিকের মিশ্রণ ঠেকাতে সাহায্য করে। এক গবেষণায় উঠে আসে, দিনে অন্তত তিন কাপ কফি পান করলে হার্ট অ্যাটাকসহ অনেক জটিল রোগের সম্ভাবনা কমিয়ে আনা সম্ভব। ১৬ বছর ধরে ইউরোপের দশটি দেশের ৫ লাখ মানুষের তথ্য নিয়ে চালানো হয় ঐ গবেষণাটি। কফি'র ক্যাফেইন উপাদানটি মানুষের সতেজতা ও ক্রীড়া তৎপরতা বাড়াতে সাহায্য করে।

আবার অতিরিক্ত কফি পানের ফলে রক্তচাপ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। রয়েছে অনিদ্রা ও কোষ্ঠকাঠিন্যের বিপদ। ভারসাম্য ও পরিমাণ লঙ্ঘিত হলে কফি উপকারের চেয়ে বিপদ ডেকে আনতে পারে। এ কথা অবশ্য সকল খাদ্য ও পাণীয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। নিয়ম ও পরিমাণ মতো খাদ্য যেমন উপকারের কারণ, অনিয়ম ও অমিতাচার তেমনিভাবে ক্ষতির কারণ, এটা কফি প্রসঙ্গেও স্মর্তব্য।

এতো কিছুর পরেও 'কফি' নামটা শুনলেই কেমন জানি প্রশান্তি ও চাঙ্গাভাব চলে আসে মনে ও দেহে। কর্মব্যস্ততা কিংবা একঘেয়ে ভাব দূর করতে কফির কাপ হাতে হাতে ঘুরে। বিশ্বে জ্বালানির পরেই দ্বিতীয় সেরা পাণীয় শিল্প হলো কফি। দিনের শুরু- কফি চাই, রাত জেগে ইবাদত করবেন- কফি চাই, রাত জেগে পড়াশুনা- কফি চাই-ই; অর্থাৎ কফি যেন কর্মচঞ্চল মানুষের নিত্য দিনের জ্বালানি। তবে, সাবধান। এই জ্বালানি বেশি হলে বাড়বে বিপদ।

পরিসংখ্যানের তথ্য মতে, সারা বিশ্বে প্রতিদিন কমপক্ষে ১.৬ বিলিয়ন কাপ কফি পান করা হয়, যা অলিম্পিক-সাইজের তিন শ’ সুইমিং পুল ভরে ফেলার জন্য যথেষ্ট। পাণীয় হিসাবে কফি শুধু মজাদারই নয়, সৌন্দর্যপ্রিয়তা ও শৈল্পিকতারও পরিচায়ক। বিশ্ববরেণ্য লেখক জোনাথন সুইফট মনে করেন, ‘কফি পান ফিলসফিকাল কালচার’। এজন্যই কফি এখন গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রি। কসমোপলিটন শহরগুলোতে কফিশপের ছড়াছড়ি। ইয়ং জেনারেশনের ক্রেজ হিসাবে পরিগণিত হচ্ছে কফি। কমোডিটি বা পণ্য হিসাবে বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানের অধিকার লাভ করেছে কফি। অর্থাৎ বিশ্বের মানুষের দৈনন্দিন ভোগ্যপণ্যের তালিকায় রন্ধন তেলের প্রথম স্থানটির পরেই রয়েছে কফির জায়গা।

ধূমায়িত কফি ঠোঁটে নিয়ে চুমুকে চুমুকে চাঙ্গা হওয়া মানুষের কতজন জানে কফির জন্মবৃত্তান্ত আর ভালো-মন্দের খোঁজ!


চ্যানেল ৭৮৬ এর নিউজ রুম এ যোগাযোগ করতে ই মেইল করুন এই ঠিকানায় [email protected] । আপনার পন্য বা সেবার প্রচারে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কল করুন +1 (718) 355-9232 এই নাম্বারে।

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ