তাজা মাছটা, সতেজ সবজিটা, গরুর মাংস বা মুরগিটা কেনার আগে দুয়েকবার ধরে দেখার প্রবণতা বাঙালির সহজাত। কিন্তু করোনাকালে প্রতিদিনের বাজারে এই বিলাসিতা থেকে দূরে থাকতে হবে। বাজারগুলোতে লোকসমাগম বেশি থাকে। ভীড়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভবনাও প্রবল। তাই বাজারে যাওয়ার আগে কয়েকটা বিষয় মনে রাখা অত্যন্ত জরুরি।
১.সপ্তাহে একদিন বাজার করুন। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিদিন বাজারে যাওয়ার চিন্তাও করবেন না। এক সপ্তাহের বাজার একবারে করবেন। বাড়ি থেকে বেরনোর আগে একটা তালিকা তৈরি করে নেবেন, কী কী প্রয়োজন। সেই অনুযায়ী বাজার করুন।
২.বাজারে গিয়ে এই দোকান-সেই দোকান করবেন না। সপ্তাহে একদিন সদাইপাতির জন্য গেলেও খেয়াল রাখবেন যেনো একসঙ্গে বহু জায়গায় না যেতে হয়। ওষুধের দোকান, সবজি বাজার, ফলের দোকান আর মাছ-মাংস ছাড়া অন্য কিছু কেনাকাটা থেকে যতটা সম্ভব বিরত থাকুন।
৩.অনেক দোকান ঘুরে সবজি কেনার চেয়ে একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে সম্পূর্ণ বাজার সেরে ফেলুন। যত বেশি জায়গায় যাবেন, তত বেশি মানুষের কাছাকাছি যেতে হবে। এবং সংক্রমণের সম্ভাবনাও বেড়ে যাবে।
৪.বাজারে যাওয়ার সময় অবশ্যই সব রকম কোভিড-সতর্কতা অবলম্বন করতে ভুলবেন না। হয় এন-৯৫ মাস্ক, নাহয় অন্তত দুইটা সার্জিক্যাল মাস্কের উপর কাপড়ের মাস্ক পড়ুন। সঙ্গে স্যানিটাইজার রাখবেন। কোনো জিনিস হাত দেওয়ার পর বা টাকা নেওয়ার পর হাতে স্যানিটাইজার লাগান। যদি কার্ডের মাধ্যমে দাম মেটান, তা হলে পিন নম্বর দেওয়ার পর হাত স্যানিটাইজ করুন।
৫.বাজারে গিয়ে পরিচিতজনদের সঙ্গে দেখা হলে অযথা আলাপচারিতা করা থেকে বিরত থাকুন। সব সময় দুই মিটার দূরত্ব বজায় রাখুন। চেনা মানুষদের সঙ্গে আড্ডা মারতে হলে তাদের ফোন বা ভিডিও কল করুন। বাজারে দাঁড়িয়ে ভীড় বাড়িয়ে আড্ডা মারবেন না।
৬.অতিমারির দুর্যোগকালীন সময়টাতে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করে অনেকেই সুপার শপকে বেছে নিচ্ছেন সপ্তাহের বাজারের জন্য। কারণ, সেখানে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা হয় এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা হয়। আজকাল মধ্যবিত্তরাও অভ্যস্ত হচ্ছেন সুপার শপে।
৭.চাল, ডাল, বিস্কুট, মশলার মতো শুকনো খাবার কেনার সময় বেশি বেশি কিনবেন না। করোনা এখন সবারই জীবনের অংশ হয়ে গিয়েছে। করোনা যেহেতু সহসাই যাচ্ছে না তাই বেশি খাবার কিনে মজুদ করার কোনো প্রয়োজন নেই। অযথা নষ্ট হবে। তার চেয়ে বরং সপ্তাহে একবার করে কিনে নিন প্রয়োজনীয় খাবার-দাবার।
৮.সম্ভব হলে অনলাইনে অর্ডার দেওয়ার চেষ্টা করুন। এই সময় বাড়ি থেকে যত কম বেরনো যায়, তত ভালো।