মঙ্গলবার (৬ জুলাই) এক বিবৃতিতে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড বলছে, আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের হাতে সাতটি স্থাপনা ইতিমধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে। এদিকে আফগানদের না জানিয়ে একেবারে মধ্যরাতে বাগরাম বিমান ঘাঁটি ছেড়ে চলে গেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। ঘাঁটির নতুন কমান্ডার এমন দাবিই করেছেন।-খবর রয়টার্সের
সোমবার (৫ জুলাই) জেনারেল আবদুল্লাহ কোহিস্তানি বলেন, স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত তিনটার দিকে বাগরাম ছেড়েছে মার্কিন বাহিনী। কয়েক ঘণ্টা পর আফগান বাহিনী তা জানতে পেরেছে।
বাগরামে একটি কারাগারও ছিল। এতে আটক পাঁচ হাজার তালেবান বন্দি সেখান থেকে চলে গেছেন। মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের পর জোরালোভাবে অগ্রসর হচ্ছে তালেবান।
আবদুল্লাহ কোহিস্তানি বলেন, বাগরামে তালেবান হামলা চালাতে পারে বলে মনে করেছিল আফগান বাহিনী। বিমানঘাঁটিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিন আরও বলেন, আশপাশের গ্রামীণ অঞ্চলে বিদ্রোহীরা অগ্রসর হচ্ছে। এ সংক্রান্ত খবর আমার কাছে আছে।
এই সামরিক কর্মকর্তা বলেন, আপনি জানেন, আমরা যদি নিজেদের আমেরিকানদের সঙ্গে তুলনা করি, তাহলে বিশাল ব্যবধান দেখতে পাবেন। কিন্তু সক্ষমতা অনুসারে, আমরা সর্বোচ্চটা করার চেষ্টা করছি। আমাদের জনগণের সেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যথাসম্ভব চেষ্টা করে যাচ্ছি।
শুক্রবার বাগরাম বিমান ঘাঁটি খালি করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল মার্কিন বাহিনী। আনুষ্ঠানিকভাবে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের কথা থাকলেও কার্যত দেশটিতে তাদের অভিযান শেষ হয়েছে।বাগরাম থেকে আমেরিকানরা চলে যাওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যে সেখানকার বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। অন্ধকারে ঢেকে যায় পুরো ঘাঁটি। এ সময় লুণ্ঠনকারীরা সেখানে ঢুকে ভবনটিতে তন্ন তন্ন করে অনুসন্ধান চালিয়ে যা পেয়েছে, নিয়ে গেছে। এছাড়াও যেসব জিনিস পড়েছিল, তা ভাগাড়ে ও পুরনো জিনিসপত্রের দোকানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
১৯৫০-এর দশকে এই বিমানঘাঁটি নির্মাণ করেছিল আমেরিকানরা। পরে মস্কো-সমর্থিত আফগান সরকার এটির নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল। মুজাহিদিন প্রশাসনও এটি দখল করেছিল। ১৯৯০-এর দশকে তালেবান ক্ষমতায় এলে ঘাঁটি তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।