হোয়াইট হাউসের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমন্বয়ক কুর্ট ক্যাম্পবেল বলেছেন, চীন-মার্কিন শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান সম্ভব।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) থিংক ট্যাংক এসিয়া সোসাইটিকে তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও জাপানের সঙ্গে একটি সম্মেলনের আয়োজন করবেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
চীনের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে কথিত কোয়াড জোটকে বড় উপায় বলে মনে করা হচ্ছে। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে জো বাইডেনের প্রথম বৈঠক কখন হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার প্রত্যাশা থাকবে, বেশি দূরে যাওয়ার আগে কিছু বিষয়ে আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া দরকার।
ক্যাম্পবেল বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হলো এমন একটি কৌশল নির্ধারণ করা, যাতে চীনকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া যায়, কিন্তু বিশ্বের স্থিতিশীল ও শান্তি বজায় রাখার বিরুদ্ধে চলে গেলে যাতে দেশটির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়।
তিনি জানান, একটি অনিশ্চয়তার সময় রয়েছে। সম্ভবত মাঝে-মাঝে উত্তেজনাও দেখা দিতে পারে। আমি কী মনে করি, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে থাকবে? হ্যাঁ, আমি তা-ই মনে করি। কিন্তু বর্তমান প্রজন্ম ও পরবর্তীদের জন্য ব্যাপক প্রতিকূলতাও আছে।
সম্প্রতি চীন ক্রমাগত বলপ্রয়োগী হয়ে উঠছে জানিয়ে তিনি বলেন, একইসঙ্গে তারা অনেকগুলো দেশের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। এই কৌশলকে ১৯৯০-এর দশকে তারা যেভাবে পরিচালিত হতো, তার সঙ্গে তুলনা করা যায়।
হোয়াইট হাউসের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, আমি নিশ্চিত না, বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার প্রতি তাদের ভিন্ন ধরনের কোনো কূটনৈতিক চিন্তা আছে কিনা। তাদের মনোভাবের কঠোরতা আরও অনমনীয় হয়ে উঠেছে।
গত বছর করোনাভাইরাসের উৎসের সন্ধানে একটি স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছিল ক্যানবেরা। এরপর থেকে দেশটির বিভিন্ন পণ্যের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে চীন।