সারা বিশ্বে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। এরই মধ্যে ৯৮টি দেশে এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। এ অবস্থায় গরিব দেশগুলোকে মাশুল গুনতে হচ্ছে বেশি।
গত ৩ জুলাই শনিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদরস আধানম গ্যাব্রিয়াসুস বলেন, গরিব দেশগুলোতে করোনা পরিস্থিতি এমনিতেই খারাপ ছিল। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে তা আরও শোচনীয় হচ্ছে। কারণ, এসব দেশে টিকার সংকট তীব্র। অথচ ধনী দেশগুলো শিশুদেরও টিকা দেওয়ার জন্য তোড়জোড় করছে।
গ্যাব্রিয়াসুস আরও বলেন, সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্বের অন্তত ১০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে হবে। এ ছাড়া চলতি জুলাইয়ের মধ্যে ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে না পারলে পরিস্থিতি ভিন্ন চিত্র ধারণ করতে পারে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক হারে টিকা কর্মসূচি অব্যাহত থাকলেও ভারতীয় বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এখানেও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তবে বর্তমানে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের পরিণতি ভোগ করতে হচ্ছে এশিয়ার দেশগুলোকে, বিশেষ করে ভারতের প্রতিবেশীদের।
ভারতে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি দেখা গেলেও সে দেশে প্রথম শনাক্ত করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশে বিপজ্জনক মাত্রায় নতুন করে ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ ও মৃত্যু। আর এই বিপদ এমন সময় হাজির হয়েছে, যখন ওই অঞ্চলের অধিকাংশ দেশেই টিকা কর্মসূচির পরিস্থিতি নাজুক।
মে মাসেই নেপাল, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কায় নতুন করে সংক্রমণ বাড়ার প্রবণতা দেখা দেয়। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হয় নেপালে। মে মাস থেকে সে দেশে এত দ্রুত হারে সংক্রমণ বাড়তে থাকে যে স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর চাপ চরমে পৌঁছায়।
জুন মাসে আফগানিস্তানে সংক্রমণের সংখ্যা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি হয়ে পড়ে। সে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওয়াজিদ মজরুহ বলেন, সারা দেশে যত সংক্রমণ হচ্ছে, তার ৬০ শতাংশই হচ্ছে রাজধানী কাবুলে। তিনি বলেন, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে এই অবস্থা।
ডব্লিউএইচও বলছে, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও মঙ্গোলিয়ায় সংক্রমণ বাড়ছে।