সান ফ্রান্সিসকোর এয়ারপোর্টের একটি ভ্যাক্সিন ক্লিনিক একটি পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। প্রতিনিয়ত শত শত যাত্রী এয়ারপোর্টে নামছে ও ক্লিনিকটি থেকে ভ্যাক্সিন নিচ্ছে।
পর্যটক রোগাযেন ট্যান বলেন, ‘ফিলিপাইনসে সহজে ভ্যাক্সিন নেওয়া যায় না। তাই, এখানে এসে ভ্যাক্সিন নেওয়া সহজ। একইসাথে বিদেশ ভ্রমণ ও ভ্যাক্সিন গ্রহণ দুইটিই হয়।‘
ট্যান তাঁর স্বদেশে ভ্যাক্সিন নিতে পারেনি। আতি সে ১৫ ঘণ্টা ভ্রমণ করে স্যান ফ্রান্সিসকো এসে ভ্যাক্সিন নেয়।
আরেকটি জনপ্রিয় ‘ভ্যাক্সিন পর্যটন কেন্দ্র’ হচ্ছে এসএফও ভ্যাক্সিন ক্লিনিক। ক্লিনিকটিতে সোম থেকে শুক্র পর্যন্ত জনসন এন্ড জনসন ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়।
এসএফও-এর মুখপাত্র ডোগ ইয়াকেল বলেন, ‘বর্তমানে ভ্যাক্সিনেশনের জন্য করা আবেদনগুলোর শতকরা ৮০ ভাগই বিদেশি পর্যটকদের দ্বারা করা।‘
মে মাস থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত এসএফও ক্লিনিক ৫৮টি দেশের ১০০০ এর বেশি পর্যটককে ভ্যাক্সিন দিয়েছে। তাঁরা জানায়, বেশিরভাগ পর্যটক মেক্সিকো আর তাইওয়ান থেকে আসছে।
মেক্সিকান পর্যটক ইসরায়েল গোমেজ বলেন, ‘মেক্সিকোতে ভ্যাক্সিন নিয়ে কোন পরিকল্পনা নেই। তাঁর খুব ধীর গতিতে কাজ করছে।‘
ডেল্টা ভেরিয়েন্ট বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে, এসএফও এখন একটি অপ্রত্যাশিত ভ্যাক্সিনেশন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। বিগত মাসে তাঁরা তাদের ওয়েবসাইট এরকম ভ্রমণের জন্য আপডেট্ করেছে।
ইয়াকেল বলেন, ‘পর্যটকদের কারণে জনসন এন্ড জনসন এর ভ্যাক্সিন পড়ে পড়ে নস্ট হচ্ছে না।‘
ট্রাভেল এজেন্ট এডওয়ার্ড সিউ জানান, অনেকেই তাঁর কাছে এরকম ভ্রমণের জন্য যোগাযোগ করছেন। তিনি জানান,এরকম ভ্রমণের জন্য ৪০০০-৫০০০ ডলার ব্যয় হয়। মূল্য বেশি হলেও করোনার ভয়ে অনেকেই এভাবে এসে ভ্যাক্সিন নিচ্ছেন।
এসএফও আশা করছে যে সহজলভ্য ভ্যাক্সিন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সক্ষম হবে।
চ্যানেল ৭৮৬ এর নিউজ রুম এ যোগাযোগ করতে ই মেইল করুন এই ঠিকানায় [email protected] । আপনার পন্য বা সেবার প্রচারে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কল করুন +1 (718) 355-9232 এই নাম্বারে।