করোনা মহামারির প্রভাব থেকে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। গত সপ্তাহে কর্মহীন ভাতার জন্য আবেদনকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কমে গেছে। চাকরির বাজার আবারো চাঙ্গা হওয়ার এর সুফল ভোগ করছেন কর্মহীনেরা৷
লেবর ডিপার্টমেন্ট বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) এক বিবৃতিতে জানায়, কর্মহীন ভাতার সংখ্যা এর আগের সপ্তাহের থেকে কমেছে ২৪ হাজার। এর আগে প্রায় ৪ লাখ কর্মহীন ভাতার আবেদন জমা পরেছিল।
এর আগে জানুয়ারি মাসে কর্মহীন ভাতা সর্বোচ্চ ৯ লাখ ৪ হাজার ছুঁয়েছিল। করোনা পূর্ববর্তী কালে ২ লাখ ২০ হাজার জন সর্বোচ্চ কর্মহীন ছিল। করোনা পরবর্তী সময়ে আবারো অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করায় কমতে শুরু করেছে কর্মহীন ভাতার আবেদন।
মূলত টিকাদান কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হওয়ায় ও করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আবারো পুরোদমে চালু হয়েছে। সেই সাথে সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন চাকরি ক্ষেত্র সৃষ্টি হওয়ায় কর্মহীন বাসিন্দার সংখ্যা কমছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য সংকট এখনো পুরোপুরি কেটে যায়নি। যারা টিকা গ্রহণ করেননি, সাম্প্রতিক সময়ে তাদের মধ্যে সংক্রমণ আবারো বাড়ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন গড়ে ৫০ হাজার বাসিন্দা করোনা আক্রান্ত হচ্ছে। জুনের শেষের থেকে সংখ্যাটি কমে গেছে ১২ হাজার। করোনা পরিস্থিতি আবার নাজুক হলে অর্থনীতির উপর আবারো বিধিনিষেধ আরোপ হতে পারে। তখন কর্মহীন বাসিন্দা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক জানাচ্ছেন, তারা ব্যবসা পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত কর্মী পাচ্ছেন না। মে মাসে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ২ মিলিয়ন চাকরির পদ আহবান করা হয়েছে।
কর্মী সংকট সৃষ্টি হওয়ায় ইতোমধ্যে ২২টি অঙ্গরাজ্য কর্মহীনদের জন্য সাপ্তাহিক ৩০০ ডলার ফেডারেল ভাতা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এছাড়াও ২০টি অঙ্গরাজ্য আরো দুইটি ফেডারেল প্রোগ্রাম বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানিয়েছে। স্বনির্ভর ও গিগ ওয়ার্কারদের এবং যারা ছয় মাসের অধিক কাজের বাইরে আছেন, তাদের জন্য ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
জুলাই এর ১০ তারিখ পর্যন্ত ১৩ দশমিক ২ মিলিয়ন বাসিন্দা বিভিন্ন রকম কর্মহীন ভাতা পেয়েছে। এক বছর আগে ৩১ দশমিক ৯ মিলিয়ন বাসিন্দা এমন ভাতা গ্রহণ করেছে।
চ্যানেল ৭৮৬ এর নিউজ রুম এ যোগাযোগ করতে ই মেইল করুন এই ঠিকানায় [email protected] । আপনার পন্য বা সেবার প্রচারে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কল করুন +1 (718) 355-9232 এই নাম্বারে।