
মতবিনিময় সভায় চাক শুমার
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রকে আরও বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন সিনেটের মেজরিটি লিডার, নিউইয়র্ক থেকে নির্বাচিত সিনেটর চাক শুমার। পাশাপাশি বাংলাদেশের জন্য আরও বেশি ভ্যাকসিন বরাদ্দে চেষ্টা থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার নিউইয়র্কের জ্যামাইকায় বাংলাদেশী আমেরিকান সোসাইটির মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন চাক শুমার। অনুষ্ঠানের শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন করেন সোসাইটির সভাপতি, কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার মোহাম্মদ আলী। দি সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্ক-কিউনিতে হাজার হাজার বাংলাদেশী শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছে উল্লেখ করে সেখানে বাংলাদেশি প্রতিনিধি মনোনয়নের দাবি জানান। সেইসাথে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ঋণ মওকুফের দাবি জানান তিনি। বাংলাদেশীদের জন্য ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা আরও সহজতর করার জন্য সিনেটর চাক শুমারের প্রতি আহ্বান জানান মোহাম্মদ আলী।মার্কিন ইমিগ্র্যান্ট ভিসার সাক্ষাতকার চালুরও দাবি জানানো হয়।
বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ডেমোক্রেট লিডার মোর্শেদ আলম। এতে বাংলাদেশকে আরও বেশি ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য সিনেটর চাক শুমারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। আহ্বান জানান রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আরও বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখার।
জবাবে চাক শুমারও পাশে থাকার আশ্বাস দেন। বলেন, বাংলাদেশের জন্য ইতিমধ্যে ৭ মিলিয়ন ভ্যাকসিন অনুমোদন করা হয়েছে। আরও ভ্যাকসিন বরাদ্দের জন্য তার পক্ষ থেকে সব চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। দি সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্ক-কিউনিতে বাংলাদেশের প্রতিনিধি রাখার ঘোষণা দেন তিনি।কথা বলেন রোহিঙ্গা ইস্যুতে। লাখ লাখ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ মানবিকতার উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে জানিয়ে শরণার্থীদের তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগীতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন চাক শুমার।
নিজেকে মুসলিমবান্ধব উল্লেখ করেন চাক শুমার। বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে সকল বর্ণ, গোত্র ও ধর্মের মানুষ গৌরবময় সহাবস্থানের অধিকারী। ইমিগ্রেন্টদের সমস্যা সমাধানে কাজ করার অঙ্গীকার করেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ। বাংলাদেশি কমিউনিটির মানুষকে ভালবাসি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই কমিউনিটির মানুষ খুবই পরিশ্রমী। তারা অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের মুলধারায় ভালভাবে জায়গা করে নেবেন। সবশেষে বাংলাদেশী কৃতি শিক্ষার্থীদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন তিনি।