‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২২’ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে অর্থ বিভাগের উপস্থাপন করা এ আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়।
বৈঠক শেষে বিকেলে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
১৮ বছর থেকে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত এই সুবিধা পাবেন নাগরিকরা। পেনশনাররা (১৮-৬০ বছর) আজীবন পেনশন পাবেন। তবে বিশেষ বিবেচনায় বয়স্ক লোকদের জন্য ৫০ বছরের অধিক কেউ থাকলে বিবেচনায় নেওয়া হবে। পেনশন পেতে কমপক্ষে ১০ বছর নিয়মিত চাঁদা দিতে হবে।
একজন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে চারজন সদস্য নিয়ে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ গঠিত হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। এছাড়াও ১৫ সদস্যের একটি পরিচালনা পর্ষদ থাকবে।
এর আগে গত ৯ জুন জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট পেশকালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, আগামী (২০২২-২৩) অর্থবছর সর্বজনীন পেনশন চালু করবে সরকার।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে অলোচিত এ আইনের খসড়াটি অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ভিত্তি ধরে ১৮ বছর বয়স থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত সব বাংলাদেশি নাগরিক এ সর্বজনীন পেনশনে অংশ নিতে পারবেন। বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীরাও এতে অংশ নিতে পারবেন। তাঁরা যদি নিবন্ধন করেন এবং প্রিমিয়াম দেন, তাহলে তাঁরাও অংশ নিতে পারবেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিশেষ বিবেচনায় আলাদা বিধি অনুযায়ী ৫০ বছরের বেশি বয়সীদেরও এ পেনশন সুবিধার আওতায় আনা যাবে।
কত বছর পর্যন্ত চাঁদা দিতে হবে, কখন থেকে পেনশন সুবিধা পাওয়া যাবে, সে বিষয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সবাইকে কমপক্ষে ১০ বছর নিয়মিত চাঁদা দিতে হবে। তিনি বলেন, ১৮ বছর থেকে শুরু হবে ৬০ বছর বয়সে গিয়ে চাঁদা দেওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। তারপর ৬০ থেকে তিনি যত দিন জীবিত থাকবেন, তত দিন পেনশন সুবিধা পাবেন।
এ প্রিমিয়ামের (চাঁদা) টাকা এবং কে কত টাকা পেনশন সুবিধা পাবেন, তা বিধি দিয়ে নির্ধারিত করা হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, পেনশনে থাকাকালে কেউ যদি মারা যান, তাহলে তিনি যাঁকে নমিনি করবেন, তিনি ওই ব্যক্তির ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত হিসাব করে সুবিধা পাবেন।
এ বিষয়টি উদাহরণ দিয়ে বলা যায়, কোনো পেনশনভোগী ব্যক্তি যদি ৬৫ বছর বয়সে মারা যান, তাহলে তাঁর নমিনি আরও ১০ বছর পেনশন সুবিধা পাবেন। তবে ব্যক্তি জীবিত থাকলে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এ সুবিধা পাবেন।
আবার কেউ যদি চাঁদা দেওয়াকালীন মারা যান, কিন্তু তাঁর বয়স ৬০ বছর হয়নি, তাহলে ওই ব্যক্তির নমিনি জমা করা টাকা এবং এককালীন সুবিধা পাবেন। পেনশন পাবেন না। যেমন কোনো ব্যক্তির বয়স ২০ বছর হলো এবং এ পেনশনের জন্য চাঁদা দিচ্ছিলেন, তিনি যদি ৩০ বছর বয়সে মারা যান, তাহলে তাঁর নমিনি ওই ব্যক্তির জমা করা টাকা এবং এককালীন সুবিধা পাবেন।
চ্যানেল ৭৮৬ এর নিউজ রুম এ যোগাযোগ করতে ই মেইল করুন এই ঠিকানায় [email protected]। আপনার পন্য বা সেবার প্রচারে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কল করুন +1 (718) 355-9232 এই নাম্বারে।