Channel 786 | চ্যানেল ৭৮৬ | Community Bangla Newspaper

এরশাদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বাংলাদেশ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:২২, ১৪ জুলাই ২০২১

আপডেট: ১৯:২৪, ১৪ জুলাই ২০২১

এরশাদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর নেতৃত্বে দলের শীর্ষ নেতারা আজ সকালে রাজধানীর কাকরাইলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এরশাদের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। সকাল থেকে কাকরাইল কার্যালয়ে এরশাদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় কোরআনখানি হবে। দুপুরে সেখানে সংক্ষিপ্ত স্মরণসভায় বক্তব্য রাখবেন জি এম কাদেরসহ দলের শীর্ষনেতারা। কেন্দ্রীয় কার্যালয় চত্বরে দুপুরে সুবিধাবঞ্চিত ১০ হাজার মানুষের মধ্যে রান্না করা খাবার বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন জাপা চেয়ারম্যান।
বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অবিভক্ত ভারতের কোচবিহার জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। পরে তার পরিবার রংপুরে চলে আসে। কুচবিহারের দিনহাটায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শেষ করেন তিনি।  রংপুর কারমাইকেল কলেজে এইচএসসি পাসের পর ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করে ১৯৫২ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন তিনি। ১৯৬৯ সালে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে পদোন্নতি পেয়ে ১৯৭১-৭২ সালে সপ্তম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

মুক্তিযুদ্ধের পর পাকিস্তান থেকে প্রত্যাবর্তন করে ১৯৭৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি ব্রিগেডিয়ার পদে পদোন্নতি লাভ করেন। ওই বছরের আগস্টে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে তাকে সেনাবাহিনীর উপপ্রধান হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৭৮ সালের ডিসেম্বরে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সেনাবাহিনীর প্রধান হন। ১৯৭৯ সালে তিনি লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে পদোন্নতি লাভ করেন।

১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। দীর্ঘ নয় বছর দেশ পরিচালনা শেষে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেন। ১৯৯১ সালে গ্রেফতার হন তিনি। অন্তরিন থাকা অবস্থায় ওই বছরই রংপুরে জাতীয় সংসদের পাঁচটি আসনে বিজয়ী হন। কারাগারে থেকেই ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও অংশ নিয়ে তিনি পাঁচটি আসনে জয়ী হন। ১৯৯৭ সালের ৯ জানুয়ারি জামিনে মুক্ত হন এরশাদ।

২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার দল জাতীয় পার্টি ১৪টি আসনে জয়ী হয়। ২০০৬ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে মহাজোট গঠন করেন তিনি। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তার দল ২৭টি আসনে জয়ী হয়। এরপর দশম ও চলতি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

চলতি একাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতা হিসাবে দায়িত্ব পালনের মধ্যেই অসুস্থ হন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সিএমএইচে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন এবং সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অবর্তমানে বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্ব নেন তার স্ত্রী রওশন এরশাদ। বিরোধীদলীয় উপনেতা নির্বাচিত হন জিএম কাদের। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছোট ভাই জিএম কাদের এখন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। অন্যদিকে রওশন এরশাদ পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসাবে আছেন।


চ্যানেল ৭৮৬ এর নিউজ রুম এ যোগাযোগ করতে ই মেইল করুন এই ঠিকানায় [email protected] । আপনার পন্য বা সেবার প্রচারে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কল করুন +1 (718) 355-9232 এই নাম্বারে।

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ