লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলের ড্রোন হামলায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর উপপ্রধান সালেহ আল-আরৌরি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে আরো কয়েকজন। সংবাদমাধ্যমে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরতলিতে হামাসের কার্যালয় লক্ষ্য করে এই ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। হামলার লক্ষ্যবিন্দুতে ছিলেন আরৌরি।
ইসরায়েলের ওই হামলায় আশেপাশের কয়েকটি ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হামাস আনুষ্ঠানিকভাবেও সালেহ আল আরৌরি’র নিহতের খবর নিশ্চিত করেছে।
সংগঠনটির প্রভাবশালী সদস্য ইজ্জাত আর রিশক বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে ইসরায়েলের পরাজয়ের বিষয়টি আবারও স্পষ্ট হয়েছে। আরৌরিকে কাপুরুষোচিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ফিলিস্তিন ও ফিলিস্তিনের বাইরে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড চালিয়ে ফিলিস্তিনিদেরকে তাদের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করা যাবে না বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
কে এই সালেহ আল আরৌরি? সালেহ আল আরৌরি (৫৭) ছিলেন ফিলিস্তিনের গাজাভিত্তিক প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসের পলিটব্যুরোর উপপ্রধান। তিনি ছিলেন সশস্ত্র গোষ্ঠীটির সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।
সালেহ আল আরুরির জন্ম ১৯৬৬ সালে, ফিলিস্তিনের রামাল্লাহ’র কাছাকাছি আরুরা গ্রামে। তিনি ইসলামি শরিয়া বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ১৯৮৭ সালে তিনি হামাসে যোগ দেন। আরৌরি ছিলেন একজন মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দি, যিনি ইহুদিবাদী ইসরায়েলের কারাগারে ১৫ বছর কাটিয়েছেন। মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই তিনি লেবাননে নির্বাসিত জীবন যাপন করছিলেন।
আরৌরি ২০১১ সালে ইসরায়েলি সেনা গিলাত শালিতের মুক্তির বিনিময়ে বহু ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্ত করার ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন।
সম্প্রতি আরুরি হামাসের অন্যতম মুখপাত্রের ভূমিকা পালন করে আসছিলেন। গত মাসে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে বলেছিলেন- হামাস গাজা যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগে জিম্মি বিনিময় চুক্তি নিয়ে কোনো আলোচনা করবে না।
চ্যানেল ৭৮৬ এর নিউজ রুম এ যোগাযোগ করতে ই মেইল করুন এই ঠিকানায় [email protected] । আপনার পন্য বা সেবার প্রচারে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কল করুন +1 (718) 355-9232 এই নাম্বারে।