করোনা ভ্যাকসিন
করোনা প্রতিরোধে বুস্টার ডোজ নিয়ে এখন বেশ আলোচনা চলছে বিশ্বব্যাপি। এটা কি আসলেই কার্যকরী- তা নিয়ে নানা মতভেদ চলছে। এরইমধ্যে বুস্টার ডোজ প্রয়োগের পরামর্শ দিয়েছে টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার। যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর পরিকল্পনাও করছে প্রতিষ্ঠানটি।
ফাইজারের প্রধান বিজ্ঞানী মাইকেল ডলস্টেনের মতে, টিকা গ্রহণের ছয় মাসের মধ্যে আবার সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই বুস্টার ডোজের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। মাইকেল ডলস্টেন বলছেন, শক্তিশালী ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দ্রুত বিস্তার ঘটাচ্ছে। এটি রোধে আগস্ট মাস থেকেই বুস্টার ডোজ প্রয়োগ শুরুর আহ্বান জানান তিনি। ফাইজারের এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, সেকেন্ড ডোজের তুলনায় পাঁচ থেকে দশ গুণ বেশি অ্যান্টিবডি তৈরিতে সহায়ক বুস্টার ডোজ। অন্যদিকে, জার্মানিতেও বুস্টার ডোজের পরিকল্পনা চলছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, কেউ অ্যাস্ট্রোজেনেকার টিকা নিলে তাকে দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে ফাইজার বা অন্যকিছু দেয়া হবে।
তবে এটা কি আদৌ কার্যকরী? এ বিষয়ে মুখ খুলেছে এফডিএ ও সিডিসি। তারা বলছে, পূর্ণ ভ্যাকসিনপ্রাপ্তদের কোভিড বুস্টার ডোজের দরকার নেই। বৃহস্পতিবার যৌথ বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, আগামীতে বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে বুস্টার ডোজের প্রয়োজনীতা প্রমাণিত হলে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
চ্যানেল-৭৮৬'এ নিউজ পাঠাতে ই-মেইল করুন [email protected] এই ঠিকানায়। আপনার পণ্য বা সেবার প্রচারে বিজ্ঞাপনের জন্য কল করুন (212) 729-0610, +1 (718) 355-9232 এই নাম্বারে।