জোসেফ গ্যালাওয়ে। ছবি: রয়টার্স
অনেকটা নিভৃতেই চলে গেলেন বাংলাদেশের আরেক বন্ধু মার্কিন সাংবাদিক জোসেফ গ্যালাওয়ে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের খবর গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন, তাঁদের অন্যতম জোসেফ গ্যালাওয়ে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের যুদ্ধের খবর তিনি সংগ্রহ করেছেন মাঠ থেকে। তবে তিনি সবচেয়ে বিখ্যাত ভিয়েতনাম যুদ্ধের খবর সংগ্রহের কারণে। গত ১৮ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনায় তিনি ৭৯ বছর বয়সে মারা যান।
শুধু মুক্তিযুদ্ধ নয়, উপসাগরীয় যুদ্ধ বা তারও আগে ১৯৬৫ সালে ভিয়েতনাম যুদ্ধের খবর সংগ্রহ করেছেন জোসেফ গ্যালাওয়ে। ভিয়েতনামের লা দ্র্যাং উপত্যকায় হওয়া যুদ্ধে সাংবাদিক হিসেবে শুধু নন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একজন উদ্ধারকর্মীর ভূমিকায় নেমেছিলেন তিনি। আহত সৈনিকদের উদ্ধার করে তাঁদের অনেককেই গ্যালাওয়ে বলতে গেলে নতুন জীবন দিয়েছিলেন। সেদিনের সেই ভূমিকার জন্য পরে রাষ্ট্রীয় সম্মাননাও পেয়েছিলেন গ্যালাওয়ে। পেয়েছিলেন ব্রোঞ্জ স্টার মেডেল, যা বেসামরিকদের জন্য বরাদ্দ নয়।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিয়েতনাম যুদ্ধে জোসেফ গ্যালাওয়ের ভূমিকা নিয়ে মেজর জেনারেল জোসেফ কেলোগ তিন দশক পর বলেছিলেন, ‘সেখানে সেই সময় তিনি একজন সৈনিকই ছিলেন।’
গ্যালাওয়ের বই ‘উই ওয়্যার সোলজারস ওয়ান্স...অ্যান্ড ইয়ং’ তাঁর যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে সাংবাদিকতার বহু অভিজ্ঞতার আকর। বইটি অবশ্য তিনি একা লেখেননি। তাঁর সহলেখক হিসেবে ছিলেন লা দ্র্যাং যুদ্ধে মার্কিন বাহিনীর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল হ্যারল্ড মুর। ১৯৯২ সালে প্রকাশিত বইটি নিয়ে একটি সিনেমাও হয়েছে। ‘উই ওয়্যার সোলজারস’ নামের সিনেমাটি মুক্তি পায় ২০০২ সালে।
ভিয়েতনাম থেকে ক্রেমলিন, কি ইরাকের যুদ্ধক্ষেত্রে ছুটে বেড়ানো সেই গ্যালাওয়ে চলে গেলেন অনেকটা নিভৃতেই। ১৮ আগস্ট নর্থ ক্যারোলাইনার কনকর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এর কয়েক দিন আগে হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তাঁর এক বন্ধু।
চ্যানেল ৭৮৬ এর নিউজ রুম এ যোগাযোগ করতে ই মেইল করুন এই ঠিকানায় [email protected] । আপনার পন্য বা সেবার প্রচারে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কল করুন +1 (718) 355-9232 এই নাম্বারে।