Channel 786 | চ্যানেল ৭৮৬ | Community Bangla Newspaper

‘খোলা স্থানে কোরবানিতে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০০:৪৬, ৬ জুলাই ২০২১

আপডেট: ০৪:০২, ৬ জুলাই ২০২১

‘খোলা স্থানে কোরবানিতে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে’

মক্কা-মদিনার আদলে কোরবানি ব্যবস্থাপনা- শীর্ষক আলোচনা সভা

আর কয়েকদিন পরেই ঈদুল আজহা। মুসলমানদের অন্যতম বড় এই ধর্মীয় উৎসবে খোলা জায়গায় কোরবানি দিলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যাবে। সেজন্য পশু নির্বাচন, পরিবহন, কোরবানির আগ পর্যন্ত পশুটিকে পরিচ্ছন্ন পরিবেশে রাখা, পশু জবাইয়ের স্থানটির পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে। সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় প্রশাসনকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানি ব্যবস্থাপনার বিষয়ে আগে থেকেই সঠিক পরিকল্পনা করতে হবে।

ধর্মীয় মূল্যবোধ ও জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় দেশে মক্কা-মদিনার আদলে কোরবানি ব্যবস্থাপনা চালু করা- শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব পরামর্শ দিয়েছেন বক্তারা।

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) ও সাদাকাহ ফাউন্ডেশন ইউ এস এ যৌথভাবে আলোচনা সভার আয়োজন করে। আলোচনা সভায় করোনা পরিস্থিতি ও পরিবেশের কথা বিবেচনা করে মক্কা-মদিনার আদলে কোরবানির ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেন বক্তারা।

বক্তারা বলেন, মক্কায় যেভাবে স্লটারিং হাউজের মাধ্যমে কম খরচে অল্প সময়ে সুন্দর ও সুষ্ঠু কুরবানির ব্যবস্থাপনা হয় তা আমাদের দেশেও অনুসরণ করা সম্ভব।

পবা’র চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে ও গ্রিনফোর্স সমন্বয়ক মেসবাহ সুমনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন সাদাকাহ ইউএসএ’র চেয়ারমান মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ,পবার সাধারণ সম্পাদক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুস সোবহান, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. আহমেদ আবুল কালাম প্রমুখ।

আলোচকরা বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার সারাদেশে কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা বেড়েছে। সরকারি হিসাবে আশা করা হচ্ছে, এ বছর প্রায় ১ কোটি ১৯ লাখ ১৬ হাজার ৭৬৫টি গবাদি পশু কোরবানি হবে। তাই করোনার সংক্রমণ এড়াতে সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনে সকলকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। সংক্রমণ এড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপসহ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হবে। যাদের সুযোগ আছে, তারা অনলাইনে বা ফার্মে বুকিং দিয়ে পশু কিনতে পারেন।

বক্তারা আরও বলেন, পশু পরিবহন ব্যবস্থাপনাকে সহজতর করতে হবে। পশু ক্রয়, জবাই ও মাংস বিতরণ প্রক্রিয়ায় সমন্বয় করতে কুরবানি ব্যবস্থাপনাকে ক্রমশঃ পবিত্র মক্কানগরীর আদলে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমাদের ধাপে ধাপে অগ্রসর হতে হবে। এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী কোরবানি করার পদ্ধতি, আদর্শ তুলে ধরে সেটা বারবার প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।

কোরবানির জবাইকৃত পশুর বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনার পরামর্শ দিয়ে বক্তারা বলেন, মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এখনই কোরবানি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা করে ব্যাপকভাবে প্রচার করা প্রয়োজন। গরুর হাট বা কোরবানির বর্জ্য সুষ্ঠুভাবে সংরক্ষণ করলে তা থেকে জৈব সার করা যাবে এবং এটি সুফল বয়ে আনবে। কোরবানির পর একই ভবন বা এলাকার বেশ কয়েকটি পরিবার মিলে একটি এলাকা বা সোসাইটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। এতে বর্জ্য অপসারণ দ্রুততর হয় বলে পরিবেশের উপর তেমন প্রভাব পড়ে না। জবাই করা পশুর গোবর ও উচ্ছিষ্ট আলাদা করে খোলাভাবে না ফেলে তা নির্ধারিত স্থানে ফেলার পরামর্শ দেয়া হয় আলোচনা সভায়।

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ