
চ্যানেল-৭৮৬ এর নিয়মিত আয়োজন ‘নিউইয়র্ক ডায়েরি’তে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বংগবন্ধু পরিষদের সভাপতি ড. রাব্বি আলম এবং সাংস্কৃতিক সম্পাদক কানন ডনেল বড়ুয়া। মিশিগানে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ এবং বাঙালি কমিউনিটি আর নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলা ভাষা তুলে ধরার বিষয়ে আরজে আরিয়ানের সাথে কথা বলেছেন তারা।
মিশিগানে বাঙালি কমিউনিটির সার্বিক অবস্থার বিষয়ে আরিয়ানের এক প্রশ্নের জবাবে ড. রাব্বি আলম বলেন, মিশিগানের বাংলাদেশি কমিউনিটি ধীরে ধীরে সর্বক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করছে। লাল-সবুজের পতাকার মান আরো উন্নীত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ প্রসংগে তিনি বলেন, স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণে সামগ্রিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে মিশিগানে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা। মিশিগানের বাংলা টাউনেই হতে যাচ্ছে আমেরিকাতে প্রথম নির্মিত স্থায়ী শহীদ মিনার।
ধরণীর মাঝে আমরাই একমাত্র জাতি, যারা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছি- উল্লেখ করে তিনি বলেন, বেশ বড় বাজেটেই সম্পন্ন হবে এই শহীদ মিনার নির্মাণের কাজ। আশা করা যাচ্ছে ২০২২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে মিশিগানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের জাতীয় জীবনে এক ভিন্ন মাত্রা যুক্ত হবে।
প্রবাসে নতুন প্রজন্মের মাঝে বাংলা ভাষা আর সাংস্কৃতিক চর্চা বাড়ানোর প্রশ্নে বংগবন্ধু পরিষদের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কানন ডনেল বড়ুয়া বলেন, ‘আমরা যত বেশি পারিবারিক ও সামাজিকভাবে বাংলার সাংস্কৃতিক চর্চা বাড়াতে পারবো ততই এই প্রজন্ম ধারণ করতে শিখবে বাংলাকে।’
জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিস ক্ষমতা গ্রহণের পর কতটুকু সফল- এমন প্রশ্নের উত্তরে মিশিগানের ডেমোক্রিট নেতা ড. রাব্বি বলেন, ‘এই প্রশাসন অল্প সময়ের মাঝেই অসাধারণ কাজ করে যাচ্ছে। মানুষের মাঝে যে উৎকণ্ঠা বিরাজ করত ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সময়ে সেটা থেকে তারা নিস্তার পেয়েছে।’
এশিয়দের ওপর বিদ্বেষ কমানো, মুসলিম ব্যান বাতিল করাসহ মানবাধিকার ফিরিয়ে আনতে ইতোমধ্যেই অনেকগুলো বিলে সাক্ষর করেছে জো বাইডেন প্রশাসন, যা জনমনে নিয়ে এসেছে প্রশান্তি। অনুষ্ঠানের শেষে কানন ডনেল বড়ুয়া চট্টগ্রামের ভাষায় গান গেয়ে দর্শকদের মাতিয়ে তোলেন।