Channel 786 | চ্যানেল ৭৮৬ | Community Bangla Newspaper

ঢাবিতে হলের ছাদে ‘বিয়ার পান’ নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের হাতাহাতি

ডেস্ক নিউজ

প্রকাশিত: ২৩:২৭, ২৬ আগস্ট ২০২২

ঢাবিতে হলের ছাদে ‘বিয়ার পান’ নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের হাতাহাতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ছাদে বিয়ার পান ও চিৎকার করে গান গাওয়া নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে লাঠিসোটা নিয়ে মহড়া দিয়েছে হল শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষ। এতে হলে উত্তেজনা বিরাজ করে। 

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে জহুরুল হক হলের মূল ভবনের ছাদে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা ধরে এ ঘটনা ঘটে। এসময় হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। পরে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

জহুরুল হক হল সূত্রে জানা যায়, রাত দেড়টার দিকে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেনের অনুসারী রাকিবুল হাসান রাহীসহ তৃতীয় বর্ষের একদল কর্মী হলের মূল ভবনের ছাদে বিয়ার পান এবং উচ্চস্বরে গানও গাইছিলেন। এ সময় ছাদে যান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল উদ্দীন রানার অনুসারী আসাদুজ্জামান ফরিদসহ স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত একদল কর্মী। তারাও মদ্যপানের জন্য সেখানে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। ছাদে গিয়ে ফরিদ রাহীসহ অন্যদের ছাদ থেকে চলে যেতে বলেন। কিন্তু তারা ছাদ থেকে না যাওয়ায় উভয়পক্ষে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে ফরিদ রাহীকে থাপ্পড় দেন। পরে এ ঘটনা হলে ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষে শতাধিক নেতা-কর্মী লাঠিসোটা নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেন। এ সময়  উত্তেজনাকর পরিস্থিতি শুরু হয়। পরে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

 

ঘটনার বিষয়ে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল উদ্দীন রানা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ছাদে জুনিয়ররা উচ্চস্বরে গান গাচ্ছিলো। সিনিয়ররা তাদের উচ্চস্বরে গান গাইতে নিষেধ করে তাদের চলে যেতে বলে। জুনিয়ররা এতে প্রতিক্রিয়া দেখালে তর্ক-বির্তক, হট্টগোল হয়েছিলো। পরে আমি ও সাধারণ সম্পাদক গিয়ে সবাইকে শান্ত করি। 

মদ্যপানের কোনো ঘটনা ঘটেনি, দাবি করে তিনি বলেন, অনেকেই ফরিদের নাম বলছে। সে এসবের সাথে জড়িত নয়। সে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে। কেউ প্রমাণ দিতে পারলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুর রহিম বলেন, ঘটনার পর সাময়িকভাবে ছাদ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ছাত্রনেতাদের সাথেও কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না। আসলে হলে অনেক শিক্ষার্থী থাকায় মনোমালিন্য হতে পারে। এটি শত্রুতায় যেন না গড়ায়, সেটাই কাম্য। মদ্যপানের বিষয়টি শিক্ষার্থীরা তার থেকে গোপন করে থাকতে পারে বলেও জানান তিনি। 

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ