প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গত ১ জুলাই নিউইয়র্কে বসেছিল এর প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা। কুইন্সের লাগুর্ডিয়া এয়ারপোর্ট মেরিয়টের ব্যাংকুয়েট হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও স্বনামধন্য লেখক কাজী জহিরুল ইসলামের হাতে বিশেষ সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়েছে।
লেখালেখির মধ্য দিয়ে দেশে-বিদেশে নিজের অবস্থান পোক্ত করেছেন কাজী জহিরুল ইসলাম। কয়েক দশক ধরে লেখালেখির জগতে থাকা কাজী জহিরুল ইসলামের বইয়ের সংখ্যা ৯৭।
কবি কাজী জহিরুল ইসলাম সমকালীন বাংলা সাহিত্যের শক্তিমান কবি, বাংলা সাহিত্যে ক্রিয়াপদহীন কবিতার প্রবর্তক। বহুমাত্রিক লেখক হাসনাত আবদুল হাই জহিরুল ইসলামকে ‘ভাষাশিল্পী’ উপাধি দিয়েছেন। কবিতায় বিশ্বশান্তি ও আধ্যাত্মিক জাগরণের জন্য ২০২৩ সালে শ্রী চিন্ময় সেন্টার কর্তৃক ‘পিস রান টর্চ বিয়ারিং অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেন তিনি।
এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে কবি জসীম উদদীন পুরস্কার, নিউ ইয়র্ক থেকে ড্রিম ফাউন্ডেশন পুরস্কার, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন সম্মাননা, ক্যালিফোর্নিয়া থেকে জেসমিন খান এওয়ার্ড, ভারত থেকে রসমতি সম্মাননা এবং ডালাস থেকে স্বাধীনতা পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। তার কবিতা উড়িয়া, সার্বিয়ান, আলবেনিয়ান, ইংরেজিসহ বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। অর্ধশতাধিক দেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা তার ঝুলিতে।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করেন কাজী জহিরুল ইসলাম। তিনি একজন ফেলো সার্টিফাইড পাবলিক একাউন্ট। পেশাগতভাবে তিনি জাতিসংঘ সদর দফতরের আয়কর বিভাগের প্রধান।
কবির স্ত্রী মুক্তি জহির জাতিসংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ, আবৃত্তি শিল্পী এবং শিল্প-সাহিত্যের সংগঠন ‘ঊনবাঙলা’র সভাপতি। পুত্র কাজী আবরার জহির অগ্নি একটি আমেরিকান কোম্পানির সিইও, কন্যা কাজী সারাফ জল স্কুল পর্যায়ে অধ্যায়নরত। কবির পিতা মঙ্গল কাজী এবং মাতা সোফিয়া কাজী ঢাকায় বসবাস করেন।