Channel 786 | চ্যানেল ৭৮৬ | Community Bangla Newspaper

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলে পারমাণবিক চুক্তি হতে পারে: ইরান

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২১:৫১, ৭ জানুয়ারি ২০২২

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলে পারমাণবিক চুক্তি হতে পারে: ইরান

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন পারমাণবিক চুক্তি ইস্যুতে বিশ্ব শক্তিগুলোর সঙ্গে সমঝোতায় পৌছানো যেতে পারে যদি পশ্চিমা পক্ষগুলো সদিচ্ছা এবং তা করতে তারা আগ্রহী হয়। কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুলনাহিয়ান এই মন্তব্য করেন। বৃহস্পতিবার সাক্ষাৎকারটি সম্প্রচারিত হয়েছে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলে চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব। ২০১৫ সালের ইরানের ঐতিহাসিক চুক্তি পুনর্বহাল করতে ভিয়েনায় অষ্টম ধাপের আলোচনা চলছে। ওই আলোচনায় ইরান এখনও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের নিশ্চয়তা চাইছে।

 

জয়েন্ট কম্প্রিহেন্সিভ প্লান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) নামের চুক্তিটিতে স্বাক্ষরকারী বিশ্ব শক্তিগুলোর সঙ্গে ইরানের আলোচনা চলছে। ২০১৮ সালে এককভাবে চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্র পরোক্ষভাবে এই আলোচনায় অংশ নিচ্ছে।

 

জেসিপিওএ চুক্তিতে ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত রাখার বিনিময়ে নিষেধাজ্ঞায় শিথিলতা পায়। তবে যুক্তরাষ্ট্র সরে যাওয়ার পর কিছু কর্মসূচির গতি বাড়ায় ইরান। বর্তমানে ৬০ শতাংশের বেশি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ উন্নত সেন্ট্রিফিউজ ব্যবহার করছে দেশটি। চুক্তি থেকে বেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে।

বর্তমানে ইরানের দাবি হলো মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং তারা আর কখনোই চুক্তি থেকে বের হয়ে যাবে না-এমন নিশ্চয়তা। এছাড়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার কার্যকর হয়েছে কিনা তা যাচাই করতেও নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিতে চায় তেহরান।

আমির আবদুলনাহিয়ান আল জাজিরাকে বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার মানে পারমাণবিক চুক্তি ঘিরে সব ধরণের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং চুক্তির সঙ্গে সংঘাতপূর্ণ যেসব নিষেধাজ্ঞা ট্রাম্প পুনর্বহাল করেছেন সেগুলোও।’

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নিশ্চয়তা দাবি করছি যার মধ্যে রয়েছে নতুন কোনও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যাবে না আর প্রত্যাহারের পর কোনও শর্তে ফের বহাল করা যাবে না।’

তিনি বলেন, এগুলো ঘটার সবচেয়ে বাস্তব মডেল হবে যখন ইরান তেল রফতানি করতে পারবে এবং তেল বিক্রির অর্থ নিজেদের ব্যাংকিং সিস্টেমের মধ্য দিয়ে পাবে। আমির আবদুলনাহিয়ান বলেন, ‘ভিয়েনায় আমেরিকানদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক এবং পরোক্ষভাবে বার্তা বিনিময় হয়েছে- আমরা প্রতিনিধিদের কাছ থেকে ভালো কথা শুনেছি কিন্তু আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমেরিকান কাছ থেকে বাস্তব এবং গুরুতর পদক্ষেপ দেখতে পাওয়া।’

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ