যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বিশ্ববাসীকে সতর্ক করে বলেছেন, কাবুল এয়ারপোর্টে আরেকটি সন্ত্রাসী হামলা হওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে উদ্ধার কার্যক্রম প্রায় গুটিয়ে এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। আর মাত্র ১ হাজার বেসামরিক মানুষকে উদ্ধারের বাকি আছে।
জো বাইডেন বলেন, 'কমাণ্ডারদের তথ্য মতে রবিবার নাগাদ আরেকটি বড় হামলার শঙ্কা রয়েছে'।
দ্য স্টেট ডিপার্টমেন্ট ইতোমধ্যে সকল মার্কিনীকে ওই অঞ্চল থেকে সরে যেতে আহবান জানিয়েছে। কাবুল এয়ারপোর্টে 'সুনির্দিষ্ট ও বড় হামলার' প্রেক্ষিতে আহবান জারি করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র এখনো আফগানিস্তানে উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে যুক্তরাজ্যের সেনা, কূটনৈতিকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে কাবুল ত্যাগ করেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার কাবুল এয়ারপোর্টের বাইরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৭০ জনের প্রাণহানি হয়। এতে ১৩ জন মার্কিন সেনারও মৃত্যু হয়।
আফগানিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেট গ্রুপ বা আইএস-কে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। আফগানিস্তানের খোরাসান প্রদেশে আইএস এর বেশ বড় ঘাঁটি রয়েছে।
এই হামলার প্রেক্ষিতে শুক্রবার পূর্ব আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র ড্রোন হামলা চালিয়ে দুই উচ্চপদস্থ আইএস সদস্যকে হত্যা করে।
ড্রোন হামলায় মৃত দুইজনকে পরিকল্পনাকারী হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। কাবুল এয়ারপোর্টে হামলায় এদের সরাসরি সংযোগ আছে কী না, সেটি এখনো নিশ্চিত নয়।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, 'ড্রোন হামলাই শেষ নয়। কাবুল এয়ারপোর্টের বোমা হামলাকারীদের খুঁজে খুঁজে এই কাজের শাস্তি দেওয়া হবে'।
তবে তালেবানের পক্ষ থেকে এই হামলার নিন্দা প্রকাশ করা হয়। তালেবানের এক মুখপাত্র বলেন, 'হামলার আগে আমেরিকার আমাদের সাথে আলোচনা করা উচিত ছিল'।
আইএস-কে বা ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রভিন্স হচ্ছে আফগানিস্তানের সবচেয়ে উগ্র এবং চরমপন্থী জিহাদী দল। নানগারহার প্রদেশে আইএস-কের হাজার হাজার সদস্য লুকিয়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আগামী কয়েকদিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য উদ্ধার কার্যক্রম বেশ জটিল হয়ে যাবে বলে সতর্ক করেছে হোয়াইট হাউজ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
উদ্ধার কার্যক্রমের শুরুতে কাবুল এয়ারপোর্টে যুক্তরাষ্ট্রের ৫ হাজার ৮০০ সেনা মোতায়েন ছিল। এখন সেখানে ৪ হাজার সেনা রয়েছে।
সিকিউরিটির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তার বরাতে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্র উদ্ধার কার্যক্রমের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তবে ঠিক কবে নাগাদ সেনারা এয়ারপোর্ট থেকে সরে যাবে, তা এখনো জানা যায়নি।
ওই কর্মকর্তা জানান, আর মাত্র ১ হাজার বেসামরিক নাগরিক আকাশপথে উদ্ধারের বাকি রয়েছে।
তালেবানের এক কর্মকর্তা জানান, টেকনিক্যাল এক্সপার্ট ও ইঞ্জিনিয়াররা কাবুল এয়ারপোর্টের দায়িত্ব বুঝে নিতে প্রস্তুত আছে, আমেরিকান সৈন্যরা সরে গেলেই তাদের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
চ্যানেল ৭৮৬ এর নিউজ রুম এ যোগাযোগ করতে ই মেইল করুন এই ঠিকানায় [email protected] । আপনার পন্য বা সেবার প্রচারে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কল করুন +1 (718) 355-9232 এই নাম্বারে।