Channel 786 | চ্যানেল ৭৮৬ | Community Bangla Newspaper

জনকল্যাণে বাইডেনের বড় বাজেট আসছে

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৮:৫৫, ১৪ আগস্ট ২০২১

জনকল্যাণে বাইডেনের বড় বাজেট আসছে

বহুমুখী বিরোধিতার মধ্যেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় উদারনৈতিক কর্মসূচি এগিয়ে নিচ্ছেন। সিনেটে পাস হওয়া এক ট্রিলিয়ন ডলারের পরিকাঠামো আইন প্রস্তাবে দেশজুড়ে শুরু হবে ব্যাপক নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণ কাজ। সিনেটে গৃহীত সাড়ে তিন ট্রিলিয়ন ডলারের বাজেট প্রস্তাবে অন্যান্য উদারনৈতিক কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে লাখো অভিবাসীর নাগরিকত্ব প্রাপ্তি এবং গ্রিন কার্ড পাওয়ার সুবিধা।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রিপাবলিকান দলের সঙ্গে সমঝোতা করেই এ সপ্তাহে পরিকাঠামো আইন প্রস্তাব এবং ব্যয়বহুল বাজেট প্রস্তাব সিনেটে পাস করাতে সক্ষম হয়েছেন। মার্কিন কংগ্রেস গ্রীষ্মকালীন অবকাশ সংক্ষিপ্ত করে ২৩ আগস্ট আবার ওয়াশিংটনে ফিরবে বলে জানানো হয়েছে। প্রতিনিধি পরিষদে প্রথমে বাজেট প্রস্তাবটি অনুমোদন হওয়ার পর পরিকাঠামো প্রস্তাব নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি।

 

সমন্বিত অভিবাসন সংস্কার আইন প্রণয়ন না করেই বাজেট প্রস্তাবের সঙ্গে ১০৭ বিলিয়ন ডলারের বরাদ্দ রাখা হয়েছে অভিবাসন খাতে। বাজেট প্রস্তাবের প্রকাশিত সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, এ বরাদ্দের ফলে কয়েক লাখ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব প্রদান এবং গ্রিন কার্ড প্রদান করা সম্ভব হবে।

প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্র্যাট সদস্যরা বলছেন, বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ দেওয়ার ফলে অল্প বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে আসা অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ অনেকটাই এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের যেসব অভিবাসী টিপিএস (অস্থায়ী অভিবাসন সুবিধা) কর্মসূচিতে রয়েছে, তাদের মধ্যে মহামারির সময়ে জরুরি কাজে নিয়োজিতদের অভিবাসন প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা হবে। উদারনৈতিক ডেমোক্র্যাটদের মতে, এতে প্রায় এক কোটি অভিবাসীদের স্থায়ী অভিবাসনের পথ সুগম হবে।

 

অভিবাসন, পরিকাঠামো উন্নয়ন, জলবায়ুবান্ধব উদারনৈতিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ত্রিমুখী সমস্যায় পড়েছেন। রক্ষণশীলদের এককাট্টা বিরোধিতা ছাড়াও নিজের দলের অতি উদারনৈতিক এবং মধ্যপন্থীদের চাপের মধ্যে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। ডেমোক্রেটিক দলের অতি উদারনৈতিক পক্ষ বেপরোয়া উদার কর্মসূচি গ্রহণের জন্য প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন। মহামারি শেষ না হওয়া পর্যন্ত মাসে মাসে নগদ প্রণোদনা, বেকার ভাতা পাওয়ার মেয়াদ বৃদ্ধিসহ এসব কর্মসূচির ঘোর বিরোধিতা করা হচ্ছে মধ্যপন্থী ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ থেকেও।

সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা চার্লস শুমার বলেছেন, আমরা যা করছি তা মোটেই সহজ কাজ নয়। লক্ষ্য অর্জনের জন্য ডেমোক্র্যাটদের কঠিন পরিশ্রম করতে হচ্ছ। তবে শেষ পর্যন্ত এ পরিশ্রম ভালো ফলাফলের জন্য—এ নিয়ে তিনি সবাইকে নিশ্চিত থাকতে বলেছেন।

সিনেটর চার্লস শুমার ও স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির হাতে এখন অনেকগুলো উদারনৈতিক কর্মসূচির তালিকা রয়েছে। পরিকাঠামো আইন প্রস্তাব এবং সাড়ে তিন ট্রিলিয়ন ডলারের বাজেট প্রস্তাব গ্রহণের পর তাঁদের তালিকায় রয়েছে সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধা বৃদ্ধির বিষয়টি। ফুড স্ট্যাম্প, স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা, আবাসন সমস্যার সমাধান করার কর্মসূচিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া স্বচ্ছ জ্বালানি আইন প্রণয়ন, পেট্রলের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যবহার নিশ্চিত করার নানাবিধ কর্মকাণ্ড শুরু হচ্ছে।

মার্কিন সিনেটে রিপাবলিকান দলের নেতা মিচ ম্যাককনেল বলেছেন, নিয়ন্ত্রণহীনভাবে নাগরিকদের ওপর করের বোঝা বাড়িয়ে বিশাল ব্যয় করার এমন যজ্ঞ আর আগে কখনো দেখা যায়নি।

রক্ষণশীলদের প্রচারণা হচ্ছে, উদারনৈতিক সব কর্মসূচি গ্রহণের ফলে অর্থ সংস্থানের ওপর ব্যাপক কর বৃদ্ধির ঘটনা ঘটবে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের লোকজনের কোনো কর বাড়ানো হবে না। উচ্চ আয়ের লোকজনকে ন্যায্য কর পরিশোধ করতে হবে বলে তিনি বলেছেন।

ডেমোক্র্যাট নেতা চার্লস শুমার বলেছেন, বিরোধ সংঘাত যাই হোক না কেন, শেষ পর্যন্ত হাতে নেওয়া সব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।


চ্যানেল ৭৮৬ এর নিউজ রুম এ যোগাযোগ করতে ই মেইল করুন এই ঠিকানায় [email protected] । আপনার পন্য বা সেবার প্রচারে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কল করুন +1 (718) 355-9232 এই নাম্বারে।

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ