ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের প্রভাবে নিউইয়র্কে বেড়ে গেছে হেইট ক্রাইম তথা ঘৃণামূলক অপরাধ। এ অবস্থায় নিউইয়র্ক সিটির বিশিষ্ট মুসলিম, ইহুদি ও খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতা এবং কমিউনিটি লিডারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস।
কীভাবে পাঁচটি বরোতে ঘৃণামূলক অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করা যায়, তা নিয়ে বৈঠকে মতবিনিময় হয়। ধর্মীয় নেতারা মেয়রের সামনে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেছেন। কীভাবে নিউইয়র্কবাসী আরও নিরাপদ থাকতে পারে, সেই কৌশল কিংবা পদ্ধতি নিয়েও খোলামেলা আলোচনা হয়েছে।
মেয়র অ্যাডামস তার বক্তব্যে বলেন, ‘নিউইয়র্ক শহরে ঘৃণার কোনো স্থান নেই। আমাদের আশপাশে যা ঘটছে, সেটা দুঃখজনক। আমাদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ আরও বাড়াতে হবে।’
এরিক অ্যাডামস বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হল আমাদের বৈচিত্র্য, কারণ এই সিটিতে নানা নানা বর্ণ-গোত্র আর ধর্মের মানুষের বসবাস। কিন্তু ইদানীং আমরা সেই বৈচিত্রের শক্তিকে হারিয়ে ফেলছি। এখান থেকে আমাদেরকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে।’
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন—জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের ইমাম শামসি আলি, ভালো-এর প্রেসিডেন্ট শাহরিয়ার রহমান, কাউন্সিল অব পিপলস অরগানাইজেশন-এর সিইও মোহাম্মদ রাজভি, গ্লোবাল দাওয়াহ টেলিভিশন আইটিভি ইউএসএ-এর প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, মুসলিম কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট শেখ মুসা দ্রাম্মেহ, জুইশ কমিউনিটি রিলেশন্স কাউন্সিলের পরিচালক বব কাপলান, রাজা কমিউনিটি সেন্টারের রাজা আজাদ গুল, শেফহার্ডিক কমিউনিটি লিডার আদ্রিয়েনে শামি এবং জো শামি, ইকরা মসজিদ কমিউনিটির ইমাম আহমেদ আলী উজিরসহ আরও অনেক ধর্মীয় নেতা ও কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্টরা।
ইন্টারফেইথ লিডার মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ তার বক্তব্যে বলেন, আমার ধর্ম ইসলাম সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে শিখিয়েছে। ফেইথ লিডার হিসেবে আমি স্পষ্ট বলতে চাই, নিউইয়র্কে কোনো ঘৃণার অস্তিত্ব থাকতে পারে না।
চ্যানেল ৭৮৬ এর নিউজ রুম এ যোগাযোগ করতে ই মেইল করুন এই ঠিকানায় [email protected] । আপনার পন্য বা সেবার প্রচারে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কল করুন +1 (718) 355-9232 এই নাম্বারে।